বারুইপুরের যুবক উত্তরপ্রদেশে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়। বিয়ের পরে ওই তরুণী স্বামীর পরিচয় জানতে পারলে তাঁকে যুবক মারধর করেন বলেও অভিযোগ। তরুণী এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ধৃতের নাম আজম হোসেন শেখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার পদ্মপুকুর কাজিপাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। শুক্রবার সকালে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তিন দিনের হেফাজতের আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বিনোদ মাহাতো। ধৃতকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলার সিজেএম আদালতে হাজির করিয়ে এ বিষয়ে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে গোন্ডা জেলার একটি মন্দিরে গিয়ে ওই যুবতীকে বিয়ে করেন আজম। বিয়ের সময় তিনি নিজের পরিচয় গোপন করেন বলে অভিযোগ। বিয়ের পর তরুণী স্বামীর পরিচয় জানতে পারেন। তার পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়। তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানো হত বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়িতেও তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। যুবতীর পরিবারের তরফে এই নিয়ে গোন্ডা জেলার কোতোয়ালিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে কোতোয়ালিনগর থানার পুলিশ। সেখানকার পুলিশের একটি দল বর্ধমানে এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।