Advertisement
E-Paper

জাল গোটাচ্ছে পুলিশ, রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চতুর্থ অভিযুক্তও গ্রেফতার

পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের বাসিন্দা শশিকান্তকুমার মালি এই ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করে রবিবারই আসানসোল আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ১৩:৩৮
রানিগঞ্জকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক।

রানিগঞ্জকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক। — নিজস্ব চিত্র।

রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতি, গুলি চালানো এবং গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় চতুর্থ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম বর্ধমানেরই অন্ডালের দক্ষিণখণ্ডের বাসিন্দা শশিকান্তকুমার মালিকে গ্রেফতার করে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে ওই দলের বাকিদের সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।

গত রবিবার রানিগঞ্জে একটি স্বর্ণ বিপণির শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সাত জন বন্দুকবাজ মুখ ঢেকে দোকানে ঢুকে সর্বস্ব লুটপাট করে পালায়। পালানোর পথে ডাকাতদের পথ আটকে দাঁড়ান পুলিশ আধিকারিক মেঘনাদ মণ্ডল। তিনি ওই এলাকায় কোনও একটি কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সোনার দোকানের কাছাকাছি এসে আঁচ করেন, কিছু একটা গোলমাল চলছে। সেই কৌতূহলে তিনি একাই দোকানের সামনে এগিয়ে যান। সেই সময়ই লুট সেরে সোনার দোকান থেকে বেরিয়ে আসছিল ডাকাতেরা। বেরোতেই তারা মেঘনাদের মুখোমুখি পড়ে যায়। মেঘনাদ গুলি চালালে এক ডাকাতের কোমরে লাগে। লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। পাল্টা গুলি বৃষ্টি করে ডাকাতদলও। কিন্তু না পালিয়ে একটি লাইট পোস্টকে ‘কভার’ বানিয়ে ডাকাতদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকেন মেঘনাদ। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে দু’টি বাইকে সাত জন ডাকাত পালায়। কিন্তু সে ভাবে বেশি দূর যাওয়া নিরাপদ নয়, বুঝতে পেরে পথেই একটি গাড়ি ছিনতাই করে ডাকাতেরা। ছিনতাই করার উদ্দেশে ওই গাড়ির চালকের দিকে গুলি ছোড়ে ডাকাতেরা।

এর আগে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুরজকুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সুরজের বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জে। তার পর সিওয়ান থেকে গ্রেফতার করা হয় সোনু সিংহকে। মেঘনাদের ছোড়া গুলি লেগেছিল সোনুরই কোমরে। ক’দিন আগে সেই সিওয়ান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল নগেন্দ্র যাদবকে। এই ঘটনায় শেষ গ্রেফতার শশিকান্তকুমার মালি। অর্থাৎ, এ নিয়ে রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতি, গুলি চালনা এবং গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করে ফেলল পুলিশ। ওই দিন মোট সাত জন মিলে ডাকাতি করতে এসেছিল। তিন জন এখনও অধরা। জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি অন্ডালের দক্ষিণখণ্ডে। তবে, তিনি কী করে ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন, তা এখনও অজানা।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত বাকি অভিযুক্তদেরও খুব তাড়াতাড়ি ধরে ফেলা হবে। শশীকান্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

arrest West Bengal Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy