Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

তথ্য যাচাইয়ে পিছিয়ে শহর

গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশ জুড়ে তথ্য যাচাই কর্মসূচি শুরু করে নির্বাচন কমিশন। গোড়া থেকেই কাজে গতি কম ছিল এ জেলায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৭
Share: Save:

দু’দফায় সময় বাড়ানোর পরে হাতে আর এক মাস সময় রয়েছে। অথচ, পূর্ব বর্ধমান জেলায় অর্ধেকের বেশি ভোটারের তথ্য যাচাই (ইভিপি) বাকি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ৪৭ শতাংশ ভোটার ইভিপিতে যোগ দিয়েছেন। মেমারি বিধানসভায় সর্বাধিক ৬৫ শতাংশ ভোটার ইভিপিতে যোগ দিয়েছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশ জুড়ে তথ্য যাচাই কর্মসূচি শুরু করে নির্বাচন কমিশন। গোড়া থেকেই কাজে গতি কম ছিল এ জেলায়। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। বর্তমানে এই জেলা রাজ্যে ন’নম্বর স্থানে রয়েছে। তার আগে রয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, দুই ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার ও হুগলি।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানের ৩৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭১৯ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে এনভিএসপি পোর্টাল, ভোটার হেল্পলাইন, সাইবার ক্যাফে, ভোটার-সহায়তা কেন্দ্র ও বুথ লেবেল অফিসারদের মাধ্যমে মোট ১৮ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৩০ জন জন তথ্য যাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছেন। তার মধ্যে আটটি বিধানসভায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার আবেদন করেছেন। মেমারির পরেই রয়েছে কেতুগ্রাম (৬৪.৬৮%), পূর্বস্থলী দক্ষিণ (৬০.৮৮%)। এ ছাড়াও জামালপুর, মন্তেশ্বর, কালনা, পূর্বস্থলী উত্তর ও আউশগ্রামের ৫০ শতাংশের উপরে ভোটার ইভিপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে বর্ধমান শহর বা বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভায় ইভিপিতে যোগ দিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে ২৯৬ জন বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মাধ্যমে শহরের কোনও ভোটার ইভিপিতে যোগ দেননি। একই পরিস্থিতি ভাতার ও আউশগ্রামে। ওই দুই বিধানসভায় বিএলওদের মাধ্যমে যথাক্রমে ১ ও ৩৪ জন ভোটার ইভিপিতে অংশ নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “সাধারণ ভাবে প্রাথমিক শিক্ষকেরাই শহর এলাকায় বিএলও হন। নানা কারণে তাঁরা বর্ধমান শহরে কাজ করতে চাইছেন না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংসদ থেকে শুরু করে শিক্ষকদের নানা সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘ভাতার বা আউশগ্রামে বিএলওরা কাজ করলেও ফল মিলছে না। বিডিওদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হবে।’’

কর্তাদের একাংশে মতে, উৎসবের মরসুম জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ভোটার সহায়তা কেন্দ্র গড়ে প্রচার করা হয়েছিল। ফলে, ছুটির মধ্যে মানুষ ধীরেসুস্থে তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পেরেছেন। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনলাইনে দিনে ৮০ হাজার লোক ইভিপি-তে যোগ দেন। কালীপুজো ভাইফোঁটা কেটে গেলে তথ্য যাচাইয়ের প্রবণতা আরও বাড়বে, দাবি প্রশাসনের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

EVP Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE