Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোগী-মৃত্যুর জেরে ভাঙচুর হাসপাতালে

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জনা ৬০ লোক হাসপাতালে জড়ো হন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা হামলা চালান বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কাচের টুকরো। নিজস্ব চিত্র

ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কাচের টুকরো। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৪৯
Share: Save:

রোগী মৃত্যুকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল কাঁকসার রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার সকালের ঘটনা। হাসপাতালের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। পুলিশ জানায়, সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর আসানসোলের রেলপাড়ের বাসিন্দা রাজেশ যাদব ‘মেনিনজাইটিস’ রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই রোগীর আত্মীয়দের সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।

এ দিকে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জনা ৬০ লোক হাসপাতালে জড়ো হন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা হামলা চালান বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের সামনের কাচের গেটটি ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি নিগ্রহ করা হয় এক চিকিত্সককে। হাসপাতালের ম্যানেজার শুভ্রশঙ্খ ভট্টাচার্যকেও মারধর করা হয়। তাঁর নাকে ও মাথায় চোট লাগে। এ ছাড়া হাসপাতালের দু’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ওই হাসপাতালেই আহত অবস্থায় ভর্তি বলে হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে। প্রায় মিনিট দশেক ধরে হাসপাতালে তাণ্ডব চালান বিক্ষোভকারীরা বলে অভিযোগ। পুলিশ এলে চম্পট দেয় হামলাকারীরা। হাসপাতালের কর্মী রানা চক্রবর্তী জানান, হামলাকারীরা বাঁশ, লাঠি, চেন নিয়ে হাসপাতালে তাণ্ডব চালায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত রোগীর প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। সেই কারণেই হয়তো হামলা চালিয়েছে তাঁর পরিজনেরা। তবে ম্যানেজার শুভ্রশঙ্খ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কী কারণে এই হামলা, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। তাঁদের যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তা আমাদের জানাতে পারত। এই হামলা অবাঞ্ছনীয়।’’ যদিও মৃতের দাদা প্রদীপ যাদব দাবি করেন, ‘‘বকেয়া টাকা আমরা দিতে পারব না, সে কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছি। তবে আমরা হাসপাতালে হামলা চালাইনি। কারওকে মারধরও করিনি। উল্টে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের মারধর করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanksa vandalism Medical negligence Patient died
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE