ফুটপাথ তো বটেই, জাতীয় সড়কের একাংশেরও দখল নিয়েছে দোকান। বাধ্য হয়ে মাঝরাস্তা দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে গলসি বাজার এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, মাঝেমাঝে দোকানগুলি তুলে দেওয়া হলেও ফের দিন কয়েকের মধ্যে রাস্তায় ফিরে আসে। বারবার আবেদন করেও মিলছে না সুরাহা।
গলসি ১ ও ২ ব্লকের অন্যতম প্রধান বাজার গলসি বাজার। প্রতিদিন কেনাকাটা ও অন্যান্য কাজে সেখানে আসেন বহু মানুষ। দিনভর ভিড় লেগে থাকে। তার মধ্যেই ফুটপাথ ও রাস্তার বেশ খানিকটা দখল করে পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানদারেরা। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এতে যেমন যানজট বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে দুর্ঘটনা। ব্যস্ত সময়ে প্রতিদিন প্রাণ হাতে করে স্কুল, কলেজে যেতে হয় পড়ুয়াদের। গলসি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র মুন্সি আসিফুর রহমান জানান, ফুটপাথ জুড়ে সাইকেল, মোটরবাইক রাখা থাকে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিছুদিন আগে এই এলাকায় দুর্ঘটনায় এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুও হয়েছে বলে জানান বাসিন্দারা।
বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ করছে না। মাঝেমধ্যে প্রচার, পথনাটকের মাধ্যমে সচেতনতা কর্মসূচি হলেও তাতে ফল হয় না বলে দাবি তাঁদের। গলসি বাজার কমিটির তরফে অরবিন্দ রায় জানান, শুধু বাজার এলাকা নয়, থানা, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনেও রাস্তা দখল করে দোকান, সাইকেল, মোটরবাইক থাকে। দখলদারি জেরে তাঁদের বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না বলে দাবি অরবিন্দবাবুর।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে দেবসেনাপতি মণ্ডল জানান, গলসি থানার সাহায্য নিয়ে ওই বাজারে বেশ কয়েক বার অভিযান চালিয়ে দোকানপাট তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের রাস্তা দখল হয়ে গিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ও গলসি থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন বলে দাবি দেবসেনাপতিবাবুর। সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপেরও আশ্বাস দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy