গুসকরা স্টেশন থেকে রেলফটক পর্যন্ত রাস্তায় যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উঠেছে বিকল্প রাস্তার দাবি। রেলফটক এলাকাতেই রয়েছে গুসকরার মূল বাজার। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসেন এখানে। তা ছাড়া, গুসকরা থেকে দুর্গাপুর, আউশগ্রাম যাওয়ার এই একটিই রাস্তা।
ফলে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলের সংখ্যাও বেশি। দিনের পর দিন গুসকরার জনসংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দোকানপাটের সংখ্যাও। স্থানীয়দের দাবি, এমনিতেই এই এলাকার রাস্তা সরু। তার মধ্যে রাস্তার ধারে অনেকেই অস্থায়ী দোকান খুলে বসে আছেন। সেই সব দোকানেও খদ্দেররা ভিড় জমান। স্থায়ী দোকানগুলিতেও যাঁরা যান, তাঁরা ফুটপাথে সাইকেল, মোটরবাইক রেখে দেন। ফলে পথচলতি মানুষের ফুটপাথ দিয়ে চলার উপায় থাকে না। দুটি গাড়ি এসে গেলে পাস কাটানো কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
সমস্যা জটিল হয় যখন রেলগেট পড়ে। রামপুরহাট, আজিমগঞ্জ, উত্তরবঙ্গ, বিহারের সঙ্গে এই রেলপথেই যোগ। এই লাইন দিয়ে এক্সপ্রেস, মেলট্রেন-সহ প্রচুর মালগাড়িও চলে। গেট পড়লে বহুদূর পর্যন্ত গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দা তারাপদ গরাই বলেন, ‘‘যানজট শুরু হলে হেঁটে যাওয়াও কষ্টের হয়।’’ ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার পর্যন্ত গেট পড়ে বলে জানান ওই এলাকার ব্যবসায়ী বিলু রায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লেগে যায় বহু সময়। ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন গুঁই জানান, উৎসবের মরসুমে এবং মঙ্গলবার, শুক্রবারের মতো হাটবারে যানজট তীব্র হয়। এতে ব্যবসাও মার খায় বলে অভিযোগ তাঁদের। যানজটের মোকাবিলায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাখা হলেও সঙ্কীর্ণ জায়গার জন্য তাঁদেরকেও সমস্যায় পড়তে হয়।
এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে বহু দিন ধরেই এলাকাবাসী বাইপাস রাস্তার দাবি তুলেছেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওভারব্রিজ তৈরি হলে যানজটের সমস্যা অনেকটাই কমবে। সেই মতো প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy