Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Protest

ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন চেয়ে বিক্ষোভ

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১৫ জুলাই দুপুরে হরিশপুর গ্রামের রাস্তায় প্রায় দু’শো ফুট অংশে ফাটল দেখা দেয়।

ভেঙে পড়েছে ঘর। নিজস্ব চিত্র

ভেঙে পড়েছে ঘর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
অণ্ডাল শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৩:৫৪
Share: Save:

ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে ইসিএলের কাজোড়া এরিয়া কার্যালয়ের সদর দরজা বন্ধ করে ও ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। অণ্ডাল থানায় এরিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে সিপিএম নেতারা বৈঠক করেন। কর্তৃপক্ষ দাবিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ থামে।

এ দিন সকালে হরিশপুর গ্রামে যান সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া ও দুর্গাপুর পূর্বের তিন সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত, জাহানারা খান ও সন্তোষ দেবরায়। তার পরে শ’খানেক গ্রামবাসী সিপিএমের নেতৃ্ত্বে কাজোড়া এরিয়া কার্যালয় ও তার সামনে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিক্ষোভকারীদের দশ জন এরিয়া কার্যালয়ের আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১৫ জুলাই দুপুরে হরিশপুর গ্রামের রাস্তায় প্রায় দু’শো ফুট অংশে ফাটল দেখা দেয়। ধসপ্রবণ অংশের কয়েক ফুট বসে গিয়েছে। তার পরে রাস্তার পাশে দু’টি বাড়ির পাঁচিলেও ফাটল ধরে যায়। ১৭ জুলাই আরও গোটা দশেক বাড়িতে ফাটল ধরে। ১৯ জুলাই রাতে প্রচণ্ড আওয়াজের পরে আরও গোটা কুড়ি বাড়িতে ফাটল ও প্রায় ১২টি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনে তিনটি গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। বাড়়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় গাড়িগুলি চাপা পড়ে যায়। পরে ক্রেনের সাহায্যে সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রামের একটি কুয়োর জলও শুকিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর মণ্ডল জানান, দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে অস্থায়ী পুনর্বাসন দিতে হবে ইসিএলকে। তার পরে রাজ্য সরকারকে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা তপন পালের দাবি, আতঙ্কে তাঁর পরিবার-সহ হরিশপুর গ্রাম ছেড়েছে এলাকার শ’খানেক পরিবার। তাঁর কথায়, ‘‘জামবাদে বাড়িশুদ্ধ মহিলার তলিয়ে যাওয়ার ঘটনার আতঙ্ক আমাদেরও ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। তাই শ’খানেক পরিবার শুক্রবার থেকে সোমবারের মধ্যে অন্যত্র চলে গিয়েছে।’’ এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ইসিএল দশটি পরিবারকে ইতিমধ্যে খনিকর্মী আবাসনে অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু বাসিন্দারা গ্রামের সকলের পুনর্বাসন চান।

ইসিএলের ওই এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার জয়েশচন্দ্র রায় জানান, তাঁরা ইতিমধ্যে ৩৫টি খনিকর্মী আবাসন অস্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য খালি করে রেখেছেন। সেখানে ৩৫টি পরিবারকে অস্থায়ী পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তার পরে, বাকিদের অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Protest Andal Coal Mine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE