Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আচমকা অবরোধ, দুর্ভোগ কেতুগ্রামে

এই অবরোধের জেরে বিপাকে পড়েন বহু যাত্রী। কারণ এই রাস্তা দিয়েই কলকাতা, বহরমপু্র, ‌হলদিয়া-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চলাচল করে। এক যাত্রীর ক্ষোভ, ‘‘আচমকা এমন অবরোধে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেল।’’

বিক্ষোভ: আরগনে। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: আরগনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০৩:০০
Share: Save:

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে স্কুলের পঠনপাঠন, মিড-ডে মিল বন্ধ হয়েছিল আগেই। এ বার সেই একই দাবিতে শনিবার বৃষ্টিতে ভিজে এগারোটা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বাদশাহি রোড অবরোধ করলেন কেতুগ্রামের আরগনের বাসিন্দাদের একাংশ। আচমকা রাস্তা অবরোধের জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন বিস্তীর্ণ এলাকার যাত্রীরা। দাঁড়িয়ে পড়ে বহু দূরপাল্লার বাস।

বাসিন্দারা জানান, প্রায় তিন দশক ধরে রাজুর পঞ্চায়েতের আরগন থেকে রায়খাঁ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল। বেশ কিছু অংশে পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। স্থানীয় বাসিন্দা মীর মকসুদ আলি, উজ্জ্বল ঘোষদের দাবি, ‘‘ফি বছর বর্ষায় খন্দে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। সমস্যায় পড়ে পড়ুয়ারাও। এ বছর রাস্তা সারাই না হলে কেউ স্কুলে যাবে না। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও নেওয়া হবে না।’’ রাস্তা সংস্কারে দাবিতে শুক্রবার আরগন প্রাথমিক স্কুল ও আরগন শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায়। এর ২৪ ঘণ্টা পরেও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি না পেয়ে শনিবার প্ল্যাকার্ড হাতে বাদশাহি সড়কে বসে পড়েন প্রায় হাজার তিনেক বাসিন্দা।

এই অবরোধের জেরে বিপাকে পড়েন বহু যাত্রী। কারণ এই রাস্তা দিয়েই কলকাতা, বহরমপু্র, ‌হলদিয়া-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চলাচল করে। এক যাত্রীর ক্ষোভ, ‘‘আচমকা এমন অবরোধে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেল।’’

প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই ঘণ্টা বাদে বিডিও (‌কেতুগ্রাম ১) অরূপকুমার মণ্ডল ও কেতুগ্রাম থানার পুলিশকর্মীদের চেষ্টায় অবরোধ ওঠে। বাসিন্দাদের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে জেলা পরিষদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করবেন জানিয়ে লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। মহকুমাশাসক সৌমেন পালের আশ্বাস জানান, ‘‘ওই রাস্তার সাড়ে সাতশো মিটার আগেই সংস্কার করেছিল জেলাপরিষদ। বাকি সাড়ে আটশো মিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র ডাকা হলেও কোনও কারণে কাজ পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হবে। রাস্তার বাকি অংশ পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধায়কের যৌথ তহবিলে সংস্কার হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE