Advertisement
E-Paper

পেট্রলে মিশছে ভেজাল, নমুনা সংগ্রহে প্রশাসন

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর থেকে আসানসোল যাতায়াত করা বেশ কিছু সরকারি গাড়ির চালক দাবি করেছেন, তেলে যে দূরত্ব যাওয়ার কথা তা যাওয়া যাচ্ছে না। তেল বেশি লাগছে।

সুব্রত সীট

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১৫
পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত লাভের জন্য কম তেল দেওয়া, কোথাও বা তেলের সঙ্গে রাসায়নিক, কেরোসিন এমনকি জল মেশানোরও অভিযোগ ওঠে।

পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত লাভের জন্য কম তেল দেওয়া, কোথাও বা তেলের সঙ্গে রাসায়নিক, কেরোসিন এমনকি জল মেশানোরও অভিযোগ ওঠে।

চালকদের অনেকেই নানা সময়ে পেট্রল পাম্প থেকে ভেজাল তেল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ বার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন পেট্রল পাম্প থেকে তেলের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত লাভের জন্য কম তেল দেওয়া, কোথাও বা তেলের সঙ্গে রাসায়নিক, কেরোসিন এমনকি জল মেশানোরও অভিযোগ ওঠে। ২০১২-য় দুর্গাপুরের মহাত্মা গাঁধী রোডের ধারে একটি পেট্রল পাম্পের ম্যানেজারকে পুলিশ পেট্রলের সঙ্গে রাসায়নিক সামগ্রী মেশানোর অভিযোগে গ্রেফতারও করেছিল। গত ৩ অগস্ট ডিএসপি টাউনশিপের এ-জোনের একটি পেট্রল পাম্পে ফের তেলের সঙ্গে জল মেশানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিশের কাছে পাম্পের ম্যানেজার দাবি করেন, বৃষ্টির জল কোনও ভাবে তেলের ট্যাঙ্কে মিশে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। এর পরে গ্রাহকদের গাড়ি, মোটরবাইকের ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনগুলি সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেহাই পান ওই পাম্পের ম্যানেজার। সম্প্রতি ফের কিছু পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে পেট্রলের সঙ্গে কেরোসিন মেশানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর থেকে আসানসোল যাতায়াত করা বেশ কিছু সরকারি গাড়ির চালক দাবি করেছেন, তেলে যে দূরত্ব যাওয়ার কথা তা যাওয়া যাচ্ছে না। তেল বেশি লাগছে। এর পরেই প্রশাসন পেট্রল পাম্পগুলি থেকে তেলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করবে বলে ঠিক করে।

অণ্ডালের একটি পেট্রল পাম্পে সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযানের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পাম্প কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। এ ভাবেই জেলার বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে তেলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন তেল সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের অনুমোদিত পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখার জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। পেট্রল পাম্প থেকে পরিচ্ছন্ন ও ‘টাইট’ করে ‘সিল’ করা যায় এমন অ্যালুমিনিয়াম পাত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর পরে তা দু’ভাগ করা হয়। এক ভাগ ‘সিল’ করে পাম্প মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্য ভাগটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার ফল আসার পরে যাতে পাম্প মালিক কোনও ভাবেই অস্বীকার করতে না পারেন তাই এমন ব্যবস্থা। এ ছাড়াও মহকুমা প্রশাসন, পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরাও অভিযান চালাতে পারেন।

এমন অভিযানকে স্বগত জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের বর্ধমান জোনের সম্পাদক বিশ্বদীপ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘গ্রাহক ও প্রশাসনের ভরসা অটুট রাখার জন্যও এমন অভিযান জরুরি। তবে তেল সংস্থাগুলির নির্দিষ্ট করে দেওয়া পদ্ধতি ও নিয়মকানুন মেনে নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। অন্যথায় ঠিক ফল না-ও মিলতে পারে।’’

Petrol Diese Fuel
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy