—প্রতীকী চিত্র।
আট বছরের এক আদিবাসী নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমানে। বিষয়টি পরিবারের কানে যেতেই শনিবার রাতে অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি তপ্ত হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে তখন তেতে রয়েছে গ্রাম। পুলিশ কোনও রকমে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বছর বাহাত্তরের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেন পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্ত বৃদ্ধ ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ উঠছে, ওই নাবালিকাকে বিস্কুট, চকোলেট ইত্যাদির প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন ওই বৃদ্ধ। এক দিন নয়, বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই বৃদ্ধ ওই নাবালিকার শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে জানতে পারেননি। নিগৃহীতা নাবালিকা প্রথমে তার এক বন্ধুকে বিষয়টি জানিয়েছিল। পরে সেই বন্ধু গৃহশিক্ষককে ঘটনাটি জানায়। গৃহশিক্ষক মারফতই পরিবারের সদস্যরা ঘটনার কথা জানতে পারেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই নাবালিকার পরিবার ও গ্রামের অন্য বাসিন্দারা মিলে চড়াও হন অভিযুক্তের বাড়িতে।
ইতিমধ্যে খবর পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে। ফাঁড়ি ও স্থানীয় থানার পুলিশের একটি দল পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের নাগাল থেকে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে উদ্ধার করেন তাঁরা। পরে পরিবারের তরফে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কঠোর সাজার দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তৃণমূলের স্থানীয় আদিবাসী সমাজের নেতৃত্বও দাবি তুলেছে, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy