—প্রতীকী চিত্র।
মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে যখন কলকাতার সরকারি হাসপাতাল উত্তাল, তখন কাটোয়ার এক সরকারি হাসপাতালে যৌন হেনস্থার শিকার হলেন এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী।
শনিবার ওই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মহকুমা হাসপাতালের ফিমেল সার্জিকাল ওয়ার্ডে। সাত বছরের কন্যার চিকিৎসার জন্য ওই ওয়ার্ডে মেয়ের কাছেই ছিলেন ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ, পাশের পুরুষ ওয়ার্ডের এক রোগীর আত্নীয় তাঁকে দেখে প্রথমে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন। গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করেন। তার পরে তাঁকে কুপ্রস্তাবও দেন। শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ এই ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন হাসপাতাল চত্বর ছিল সুনসান। ভয় পেয়ে ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালের নার্সদের ডাকাডাকি করেন। হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদেরও বিষয়টি জানান। পরে রবিবার কাটোয়া থানায় ওই মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, অভিযুক্তের নাম ইনতাজুল হক। তাঁর বাড়ি কাটোয়ার মুলটি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনতাজুল এই ঘটনার পর মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। পরে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ যখন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই পুলিশ তাঁকে মুলাটি গ্রামের কাছেই গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের ৭৫/১ এবং ৭৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শনিবারই পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লক হাসপাতালেও এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেও অভিযোগ ওঠে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতারও করে। তার পরেই কাটোয়ার মহকুমা হাসপাতালে যৌন হেনস্থার শিকার হন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী।
ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বয়স ৩৫। তিনি নার্সিংয়ের কাজ করেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার তাঁর সাত বছরের কন্যা খেলতে খেলতে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য মহিলা সার্জিকাল বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছিল। রাতে মেয়ের কাছেই থেকে যেতে হয়েছিল মাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy