Advertisement
E-Paper

খোলা দোকান বন্ধ করাল পুলিশ

কিন্তু এ দিন দুপুর ১টার পরে আসানসোল মূল বাজারে গিয়ে দেখা গেল, খুলে রাখা হয়েছে প্রচুর দোকান। কেন এমনটা?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০৭:৫৩
দুপুর ১টার পরে দোকান খেলা। বন্ধ করাচ্ছে পুলিশ। বরাকরে। নিজস্ব চিত্র

দুপুর ১টার পরে দোকান খেলা। বন্ধ করাচ্ছে পুলিশ। বরাকরে। নিজস্ব চিত্র

টানা দু’দিন ধরে টানা প্রশাসনের প্রচারের পরেও, বুধবার দুপুর ১টা থেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দোকান-বাজার বন্ধ করতে দেখা গেল না আসানসোল মহকুমায়। এই পরিস্থিতিতে নির্দেশিকা কার্যকর করতে কোথাও ক্রেতাকে বাজারছাড়া করতে, কোথাও বা জোর করে দোকানের শাটার নামাতে দেখা গেল পুলিশকে। মহকুমা প্রশাসনের (আসানসোল) নির্দেশ অনুযায়ী, বুধবার থেকে দুপুর ১টার পরে, মোট ৬৭টি দোকান-বাজার বন্ধ করে দিতে হবে। তা খুলবে তার পরদিন ফের সকাল ৮টায়। সোমবার থেকেই আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া-সহ মহকুমার নানা প্রান্তে মাইকে ঘোষণা করে নির্দেশিকার কথা জানানো হয়।

কিন্তু এ দিন দুপুর ১টার পরে আসানসোল মূল বাজারে গিয়ে দেখা গেল, খুলে রাখা হয়েছে প্রচুর দোকান। কেন এমনটা? স্টেশনারি দোকানের মালিক মহেশ জালান বলেন, ‘‘দোকানে ক্রেতা রয়েছেন। তাই বন্ধ করতে পারিনি।’’ বার্নপুর ডেইলি মার্কেটেও দেখা গেল, ক্রেতারা গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করে আনাজ কিনছেন। পেশায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী প্রভাত দে বলেন, ‘‘দুপুর ১টায় কর্মস্থল থেকে বেরিয়ে আনাজ কিনে বাড়ি ফেরাটা অনেক দিনের অভ্যাস আসলে। এ বার দেখছি, বদলাতে হবে।’’ দুপুরের পরে বরাকর ও নিয়ামতপুর বাজারেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা যায়, অনেক জায়গাতেই লাঠি উঁচিয়ে দোকান-বাজার বন্ধ করতে হয়েছে।

দিনের শেষে মহকুমাশাসক (আসানসোল) দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দুপুর ১টার পরে প্রতিটি বাজার এলাকা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। মানুষের বহু দিনের অভ্যাসে বদল হতে হয়তো ক’টা দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে নির্দেশিকা কার্যকর করার ক্ষেত্রে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।’’ বিষয়টি নিয়ে ‘ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর সহ-সভাপতি শচীন ভালোটিয়া বলেন, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে আমরাও লাগাতার প্রচার চালাচ্ছি। এর পরেও কেউ দোকান খুলে রাখলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ক্রেতাদেরও নির্দেশ মেনে দুপুর ১টার পরে বাজার যাওয়া বন্ধ করতে হবে।’’

পাশাপাশি, বেনাচিতি বাজারে গিয়ে দেখা গিয়েছে, অনেকেই ‘মাস্ক’ পরেননি। বিভিন্ন দোকানের সামনে দূরত্ববিধিও মানতে দেখা যায়নি। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুলিশকে বিধি মানাতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। উত্তরপল্লি এলাকায় বাজারে যানবাহন ঢোকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ।

দুর্গাপুরের সেন মার্কেটে বেশির ভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও দূরত্ববিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ সমাদ্দার, শতনাম পোদ্দারেরা বলেন, ‘‘মাস্ক-দস্তানা পরে, পকেটে স্যানিটাইজ়ারের বোতল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। কিন্তু বাজারে অনেকেই নিয়ম মানছেন না দেখছি।’’ দুর্গাপুরের অন্য সব বাজারেই প্রায় একই ছবি নজরে এসেছে। আসানসোলের মতো দুর্গাপুরেও দুপুর ১টার পরে বাজারের কোনও দোকান খোলা আছে কি না, তা নজরে রেখেছিল পুলিশ।

Police Shops
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy