E-Paper

বাসে পিষে মৃত্যু, অবরোধ-ভাঙচুর

দুর্ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার মানুষজন। বর্ধমান-নতুনহাট বাদশাহী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৪
ভাতারে দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

ভাতারে দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

বাসের সঙ্গে মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বাইক চালকের। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে সাত নম্বর রাজ্য সড়কের বর্ধমান-নতুনহাট বাদশাহী রাস্তায়, ভাতারের বামশোর গ্রামের বেলডাঙা এলাকায়। মৃত শেখ নইমুদ্দিন ওরফে পিন্টু (৪০) বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর মোড় এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ দেহ তুলতে এলে ‘বাধা’ দেন স্থানীয় লোকজনের একাংশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। জড়ো হওয়া লোকজনের ছোড়া ইট ও ঘুষিতে পুলিশের একটি গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভের পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টুর বাড়ি মিঠাপুকুরে হলেও বছর দেড়েক ধরে শ্বশুরবাড়ি বর্ধমান শহরেরই সাহাচেতন এলাকায় থাকছিলেন তিনি‌। একটি কাজের জন্য মুর্শিদাবাদের লালবাগে দেশের বাড়ি গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে মোটরবাইকে লালবাগ থেকে বর্ধমান ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পথে একটি মোষের গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার উপরে পড়ে থাকা কাদার তালে বাইকের চাকা পিছলে যায়। ছিটকে বর্ধমান থেকে নতুনহাটগামী একটি বাসের চাকার তলায় পড়েন পিন্টু। হেলমেট না থাকায় মাথা থেঁতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

দুর্ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার মানুষজন। বর্ধমান-নতুনহাট বাদশাহী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। রাস্তা থেকে দেহ সরাতে গেলে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি, মাস কয়েক আগে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাতারে ‘জনজোয়ার যাত্রা’ করার সময়ে বামশোর গ্রামের তিনটি জায়গায় ছ’টি বাম্পার জেসিপি দিয়ে নষ্ট করে দেয় পুলিশ। ফের বাম্পার বসানোর জন্য বার বার বলা হলেও ব্যবস্থা হয়নি। সেই কারণেই দ্রুত গতিতে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে, দাবি তাঁদের। যদিও পুলিশের দাবি, পূর্ত দফতর থেকে বাম্পারগুলি তোলা হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা মোজাহার হোসেন, আব্দুল হান্নান, সাকিনা বিবিরা দাবি করেন, বাম্পার তৈরি না হলে দেহ তুলতে দেওয়া হবে না। কয়েক জনের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। পুলিশের একটি গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক অবরোধ, বিক্ষোভ চলার পরে ভাতার থানার ওসি অরুণ সোম গিয়ে বাম্পার তৈরির আশ্বাস দিয়ে রাস্তা থেকে দেহ তোলার ব্যবস্থা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইক ও বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে বাস চালককে পাওয়া যায়নি। বাসের যাত্রীদেরও কোনও চোট, আঘাত লাগেনি। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bhatar Road Accident

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy