Advertisement
২৪ মে ২০২৪

কম্বলকাণ্ডে জিতেন-জায়াকে নোটিস পুলিশের, বিজেপি কাউন্সিলরের বাড়িতে হবে জিজ্ঞাসাবাদ

৫ দিন আগে আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহতও হন বেশ কয়েক জন।

জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে নোটিস দিল পুলিশ।

জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে নোটিস দিল পুলিশ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৫৩
Share: Save:

আসানসোলে কম্বল বিতরণকাণ্ডে এ বার মূল আয়োজক আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে নোটিস পাঠাল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। সোমবার বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি কিংবা তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র কেউই বাড়িতে না থাকায় তাঁদের বাড়িতে নোটিস টাঙিয়ে দিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার চৈতালির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার।

আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালির উদ্যোগে ৫ দিন আগে একটি কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তাতে পদপিষ্ট হয় মৃত্যু হয় এক কিশোরী-সহ ৩ জনের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাপান-উতোর শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যে তৃণমূলের তরফে একটি প্রতিনিধি দল মৃতদের বাড়িতে গিয়েছে। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে জিতেন্দ্র এই ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন।

এখন পুলিশের নোটিস প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া, ‘‘যে ৩ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ওই বাচ্চা মেয়েটি আমার স্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। সে দিন থেকে আমার স্ত্রী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁর চিকিৎসা করানো হচ্ছে। চৈতালি কোনও বলার মত অবস্থায় নেই। আর এই চিঠি সম্বন্ধে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই।’’

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আসানসোল যায়। রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, পর্যটনমন্ত্রী তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক পৌঁছে যান নিহতদের বাড়িতে। দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বিধায়ক বিবেক গুপ্ত এবং যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষও। নিহতদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন শশীরা। তাঁদের অভিযোগ শোনেন। একান্তে কথা বলে পরিবারের হাতে ফলের ঝুড়ি এবং একটি করে খামও তুলে দিতে দেখা যায় তাঁদের। সাংবাদিক বৈঠকে শশী জানান, দল থেকে এই সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, পুলিশের তরফে বলা হয় প্রশাসনের কাছ থেকে ওই অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিস। তাতে এত লোকজনের ভিড় হবে, তা উদ্যোক্তারা বুঝতেই পারেননি। ভিড় সামাল দেওয়ার মতো ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE