Advertisement
E-Paper

অ্যাম্বুল্যান্সে মিলল অস্ত্র, বিপুল টাকা

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে কালনা থানার ওসি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে খবর আসে কলকাতা থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আসছে, যাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। থানা থেকে খবর দেওয়া হয় এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায়কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০২:৩৯
এই সেই অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র

এই সেই অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র

অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের গতিবিধির উপরে যে নজরদারি শুরু হয়েছে, শনিবারই একটি বৈঠক করে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন মহকুমাশাসক (কালনা) নীতিন সিংহানিয়া। সেই ঘোষণার পরে পরেই রবিবার ভোরে কালনা ২ ব্লকের পূর্ব সাতগাছিয়ার এসটিকেকে রোডে একটি অ্যাম্বুল্যান্স থেকে উদ্ধার হল দু’টি পাইপগান এবং তিন রাউন্ড গুলি। অ্যাম্বুল্যান্সের চালক-সহ তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত সঞ্জিত শর্মা, শিবু রাজবংশী এবং প্রতাপ সরকারের কাছে মিলেছে নগদ ৫১ হাজার ৭০ টাকা। এর মধ্যে ৫১ হাজার টাকাই জাল বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে কালনা থানার ওসি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে খবর আসে কলকাতা থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আসছে, যাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। থানা থেকে খবর দেওয়া হয় এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায়কে। রাতে বড় বাহিনী নিয়ে পূর্ব সাতগাছিয়ায় পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে শুরু হয় নাকা চেকিং। পুলিশ জানায়, ভোর তিনটে নাগাদ কলকাতার দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়ে তল্লাশি করতে চাইলে বাধা দেয় চালক। তাতেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় দু’টি পাইপগান এবং তিন রাউন্ড গুলি। পাইপগান দু’টিতে গুলি ভরা ছিল। দুই আরোহীর কাছে ২৫টি দু’হাজারের, ১০টি একশোর এবং সাতটি ১০ টাকার নোট মেলে। প্রাথমিক পরীক্ষায় পুলিশের সন্দেহ, দু’হাজার এবং একশো টাকার নোটগুলি জাল। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় ওই তিন জনকে।

পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সটি সমুদ্রগড় এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার। ধৃতেরা এনআরএস-এ রোগী নিয়ে যাবে বলে সেটি ভাড়া নিয়েছিল। সঞ্জিত অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছিল। তবে, রাতের অন্ধকারে কী উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুল্যান্সে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, জাল নোটগুলি এল কোথা থেকে এবং আগেও ধৃতেরা এই কায়দায় এসটিকেকে রোড দিয়ে অস্ত্র নিয়ে গিয়েছে কিনা, সে সব নিয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এসডিপিও বলেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ নোটগুলি জাল। নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। নিশ্চিত হয়ে গেলেই এর উৎস খোঁজা হবে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কেন, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে।’’

Kalna ambulance Police weapons
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy