রাতারাতি শুকিয়ে গেল আস্ত পুকুর। — নিজস্ব চিত্র।
আসানসোল খনি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বার রাতারাতি শুকিয়ে গেল আস্ত একটি পুকুর। তা নিয়ে ব্যাপক ধসের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর থানার হরিপুরে। এই এলাকায় ধসের ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু এ ভাবে রাতারাতি পুকুর শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কবে ঘটেছিল, মনে করতে পারছেন না এলাকার মানুষ।
রাতারাতি শুকিয়ে গেল আস্ত একটি পুকুর! হরিপুরের হাটতলা সংলগ্ন গোসাঁইতলা মন্দিরের পাশেই ছিল একটি পুকুর। সেই পুকুরের জল ব্যবহার করতেন পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীরা। মন্দিরের পাশাপাশি, ওই পুকুরের জল ব্যবহার করেন আশপাশের মানুষেরাও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই পুকুরের জল কমতে শুরু করেছিল। রাত পোহালে দেখা যায়, শুকিয়ে খটখটে হয়ে গিয়েছে পুকুর। হদিস নেই পুকুরের মাছেরও। এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা ঘাবড়ে যান। তাঁরা মনে করতে থাকেন, বড়সড় ধসের কবলে পড়তে চলেছেন বোধহয়। মাস দু’য়েক আগেও একবার হরিপুর হাটতলার একটি স্কুলে ধস নেমেছিল। সেই স্মৃতি টাটকা হয়ে ওঠে পুকুর শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই এলাকার তলায় ছিল কয়লা খনি। খনির মেয়াদ পূর্তির পর তা বালি দিয়ে ভাল করে বোজানো হয়নি। তার জেরেই মাঝেমাঝেই ধস নামছে এলাকায়। সেটাই পুকুর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শিবু মণ্ডল বলেন, ‘‘এই পুকুরের জল নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করেন। জল শুকিয়ে যাওয়ায় সকলেই সমস্যায় পড়েছেন।’’ হাটতলার বাসিন্দা তথা হরিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপীনাথ নাগ বলেন, ‘‘অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের ফলে এলাকায় প্রায়ই ধসের ঘটনা ঘটছে। এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বহু বার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বিষয়ে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ ধসের ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে এলাকায় আসেন হরিপুর কোলিয়ারির এজেন্ট পিকে ঝা। কী কারণে পুকুরের জল শুকিয়ে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy