Advertisement
০৮ অক্টোবর ২০২৪
Vegetable Price Hike

জোগান কমছে, ফের চড়ছে আনাজ

কালনা মহকুমার পূর্বস্থলীর দু’টি ব্লকে সবচেয়ে বেশি আনাজ উৎপাদন হয়। চাষিরা তা বিক্রি করেন পাইকারি বাজারগুলিতে।

কালনায় আনাজ বাজার।

কালনায় আনাজ বাজার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪২
Share: Save:

ফের আনাজের জোগান কমেছে কালনার পাইকারি বাজারে। খুচরো বাজারেও বাড়ছে দাম। চাষিদের দাবি, বৃষ্টিতে খেতজমি ডুবে যাওয়াতেই এই অবস্থা। আর মধ্যবিত্তের আশঙ্কা, একদিকে আলুর দাম, আর এক দিকে আনাজ, পাত ভরাতেই টান পড়ছে পকেটে।

কালনা মহকুমার পূর্বস্থলীর দু’টি ব্লকে সবচেয়ে বেশি আনাজ উৎপাদন হয়। চাষিরা তা বিক্রি করেন পাইকারি বাজারগুলিতে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে গাড়িতে আনাজ যায় রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। চাষিদের দাবি, মাস দুয়েক আগে রোদ, গরমে জমিতেই শুকিয়ে গিয়েছিল আনাজ গাছ। জোগানও কমে। পরিস্থিতি একটু শুধরোতেই এ বার অতিবৃষ্টির কারণে ফলন কমেছে। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে এলাকার নিচু এবং মাঝারি জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জমিতেই নষ্ট হয়ে যায় প্রচুর আনাজের গাছ। পূর্বস্থলীর চাষি গোপাল ঘোষ বলেন, ‘‘এ বার তীব্র তাপে জমিতেই প্রচুর গাছ মরে গিয়েছে। ক্ষতি সামলে বিঘা খানেক জমিতে ফুলকপি এবং সাত কাঠা জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ করেছিলাম। ফুলকপি চারা কিছুটা বড় হতেই বৃষ্টির জল জমে সব চারা পচে গিয়েছে। ঢ্যাঁড়শের উৎপাদনও কমেছে।’’ আর এক আনাজ চাষি ফরজ মোল্লাও বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে বার বার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আনাজ। এতে বিমার ব্যবস্থাও নেই। ফলে চাষ করতে গিয়ে ঋণের বোঝা বাড়ছে।’’

রবিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে মেঘ, বৃষ্টি। তাতে আনাজ চাষিদের চিন্তা আরও বেড়েছে।কালেখাঁতলা বাজারের এক আড়তদারের দাবি, ‘‘এই সময় আনাজের যা জোগান হওয়া উচিত, তার এক তৃতীয়াংশও মিলছে না।’’ রবিবার খুচরো বাজারগুলি ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ আনাজের আকাশছোঁয়া দর। স্থানীয় ফুলকপির দেখা নেই বাজারে। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা ফুলকপি প্রতিটি বিকোচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বেগুন, ধনেপাতা, ডাঁটা, কাঁচালঙ্কা, ক্যাপসিকামের দাম পৌঁছেছে ১৫০ টাকা কেজিতে। টম্যাটো, ঝিঙে, গাজর, বাঁধাকপি, বরবটি, মুলো, ওলের দাম ঘোরাফেরা করছে ৬০-৭০ টাকা কেজির মধ্যে। একমাত্র পটলের জোগান পর্যাপ্ত রয়েছে বাজারে। ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পটল।

বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে কালনার দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একে চড়া দাম, তার উপর আনাজের মানও ভাল নয়। বাধ্য হয়ে কম আনাজ কিনছি।’’ ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ দাস বলেন, ‘‘অন্যবার বর্ষায় আনাজের এত দাম হয় না। এ বার পাঁচশো টাকাতেও ব্যাগ ভরছে না।’’

জেলার এক সহকারী কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ জানান, বার বার দুর্যোগের কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে
জোগান বাড়বে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE