কলেজে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
শিক্ষক ও অশীক্ষক কর্মীদের সার্ভিস বুক আপডেট না করা, পে স্লিপ না দেওয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করলেন কর্মীরা। মঙ্গলবার কাটোয়ার বেঙ্গল ইনস্টিউট অফ টেকনোলজি কলেজের ঘটনা। ঘন্টাখানেক পরে বিক্ষোভ উঠলে অধ্যক্ষকে ছাড়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বছর চারেক ধরে কলেজের স্থায়ী, আংশিক সময়ের শিক্ষক ও অশীক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ৩৬জন কর্মীর সার্ভিস বুক চালু রয়েছে। কিন্তু কখনই তা আপ়ডেট করেননি অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষাল। ফলে প্রতি বছরের বেতন বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন আদেশনামা যেমন কনর্ফামেশন অর্ডার, জিপিএফ অর্ডার জারি হলেও তা সার্ভিস বুকে নথিভুক্ত হয় না। শিক্ষক তাপস মণ্ডল, সুকান্ত ঘোষদের অভিযোগ, প্রতি মাসে পে-স্লিপ পান না তাঁরা। ফলে চাকরি ও বেতন সংক্রান্ত কোনও তথ্যই তাঁদের কাছে থাকে না। শিক্ষক সুজিত মণ্ডল, অঞ্জনকুমার পালদের আবার দাবি, ‘‘এর আগেও উনি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে বাধা দিয়েছেন। পরে হাইকোর্টে মামলা চলার পরে বছর দুয়েক ধরে তা চালু হয়।’’ তবে বাকি নথি আপডেট না হোয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বা বিপদ হলে কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা মিলবে না বলে আশঙ্কা তাঁদের। সেই আশঙ্কা থেকেই অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন তাঁরা। বিআইটি এমপ্লয়ি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনিন্দ্য চক্রবর্তী জানান, বছর দুয়েক ধরে একাধিক বার এই সমস্যার কথা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনিকাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন দফতরের মন্ত্রী ও চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। দিন পনেরো আগেও মহকুমাশাসককেও জানিয়েও ফল না মেলায় বাধ্য হয়ে ঘেরাও করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষালের দাবি, গভর্নিং বডির পরবর্তী বৈঠকের পরে সার্ভিস বুক আপডেট করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy