Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

নিয়োগে ‘ভুল’, কয়েক ঘণ্টা পরেই বরখাস্ত

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে নিশ্চিন্তে বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন আসানসোলের মহীশিলার বাসিন্দা সুদীপ্ত মণ্ডল। কিন্তু কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘ভুল করে নিয়োগ করা হয়েছে।’

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০১:৩৪
Share: Save:

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে নিশ্চিন্তে বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন আসানসোলের মহীশিলার বাসিন্দা সুদীপ্ত মণ্ডল। কিন্তু কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘ভুল করে নিয়োগ করা হয়েছে।’ এই পরিস্থিতিতে চাকরি ফিরে পেতে ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী সুদীপ্তবাবু দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের।

আসানসোলে নিজের পড়ার ঘরে বসে সুদীপ্তবাবু জানান, ২০১৭-য় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে গবেষণা শেষ করেন তিনি। তার পরে ওই বছরই উচ্চতর গবেষণার জন্য নভেম্বরে ইজরায়েলের হিব্রু ইউনিভার্সিটি অফ জেরুজালেম যান সুদীপ্তবাবু।

সুদীপ্তবাবু জানান, ২০১৪-য় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ‘সহকারি অধ্যাপক’ পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮-র ২১ জুন আসানসোলের বাড়িতে ইন্টারভিউয়ের চিঠি আসে। গত ২৭ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইন্টারভিউ দেন সুদীপ্তবাবু। ৬ জুলাই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়ের সই করা নিয়োগপত্র বাড়িতে আসে। চাকরি হয়েছে জেনে বিদেশের সব পাট চুকিয়ে দেশে ফেরেন সুদীপ্তবাবু।

গত ১৬ জুলাই কল্যাণীতে কাজে যোগ দেন সুদীপ্তবাবু। থাকার জন্য তাঁকে দেওয়া হয় ঘরও। ১৭ জুলাই বিভাগীয় প্রধান সমীর মুখোপাধ্যায় তাঁকে কাজ বুঝিয়ে দেন। সুদীপ্তবাবু বলেন, ‘‘এর পরে ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ আমাকে ডেকে পাঠিয়ে বিভাগীয় প্রধানের উপস্থিতিতে জানান, ভুল করে নিয়োগ করা হয়েছে। এস মণ্ডল বলে অন্য এক জনের পরিবর্তে ভুল করে আমাকে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আমার হাতে বরখাস্তের চিঠিও ধরানো হয়।’’

এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন সুদীপ্তবাবু। তিনি বলেন, ‘‘কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতকোত্তর পড়েছিলাম। সেখানেই এমন হবে, ভাবতেই পারছি না।’’ তবে আপাতত তিনি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বলে জানান।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে উপাচার্যকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ফোন ধরেননি। উত্তর মেলেনি এসএমএস-এর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE