রাস্তা সারাই হোক বা ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ‘হস্তান্তর’— বর্ধমান পুরসভার কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এ বার পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে না খুশ জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক। সূত্রের খবর, সেখানেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলাশাসক।
‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে পুরসভার কাজ নিয়ে জেলা প্রশাসন যে খুশি নয়, তা এ দিন ঠারেঠোরে পুর-প্রতিনিধিদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। তা ছাড়া বারবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও জিটি রোডের বীরহাটা থেকে স্টেশন পর্যন্ত এলাকার সৌন্দর্যায়নের বিষয়ে পুরসভার পদক্ষেপ না করার প্রসঙ্গটিও বৈঠক ওঠে বলে খবর।
বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানতে জেলাশাসক প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘জনতার দরবার’ করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু কাউন্সিলরদের একাংশ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘‘পুরসভা রাস্তা ঠিক করতে পারছে না। তা নিয়ে বাসিন্দারা প্রতি দিন অভিযোগ জানাচ্ছেন। এরপরে জনতার দরবার করে অভিযোগ শোনার পরে পুরসভা সমাধান করতে না পারলে মার খেতে হবে!”
বিভিন্ন দফতর থেকে কী ভাবে টাকা আনতে হবে, বিভিন্ন কাজ কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়েও পুরসভাকে পরামর্শ দেন সৌমিত্রবাবু। এ দিনের বৈঠক নিয়ে পুরপ্রধান বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরদের কটাক্ষ, ‘‘পুরপ্রধানের মাথার উপরে দল জেলা সভাপতিকে আর প্রশাসন জেলাশাসককে দায়িত্ব দিল। এর অর্থ পুরপ্রধান ঠিক মতো পুরসভা পরিচালনা করতে পারছেন না বলে দল ও সরকার মনে করছে।” যদিও এই কটাক্ষকে পাত্তা না দিয়ে পুরপ্রধান স্বরূপ দত্তের বক্তব্য, ‘‘প্রতি মাসে জেলাশাসক পুরসভায় বৈঠক করলে অনেক কিছু শেখা যাবে।’’ প্রসঙ্গত, দলের নির্দেশে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ প্রতি মাসে বৈঠক করছেন পুরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়, জেলাশাসকের প্রস্তাব মতো ‘পরিস্কার পাড়া প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করবে পুরসভা। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের দাবি, “আগামী মাস থেকেই এমন প্রতিযোগিতা শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy