এলাকার বিভিন্ন রাস্তার এমনই হাল। অন্ডাল-উখড়া রোডে ওমপ্রকাশ সিংহের তোলা ছবি।
• বছর খানেক আগে পেট্রোল পাম্পের সামনে বাজার তৈরির কথা ঘোষণা করা হলেও কাজ শুরু হয়নি।
গোবিন্দ ভট্টাচার্য, ভাদুরগ্রাম
সভাপতি: বাজারের জন্য ১ বিঘা জমিতে ৪০টি দোকান তৈরি হবে। এর জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়েছে। পরে আরও জমি পাওয়া গেলে বাড়বে বাজারের আয়তন।
• এলাকায় সাফাই, নিকাশি ও লো ভোল্টেজের সমস্যা রয়েছে।
নিশাননাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অশোককুমার দাস, বাসকা রোড
সভাপতি: খান্দরাতে জমি মেলেনি। বাকি সাতটি পঞ্চায়েতেই একটি করে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা চালু হবে। দিন কয়েক পরে আবর্জনা ফেলার জন্য প্রতিটি বাড়িতে দু’টি করে বালতি দেওয়া হবে। তা সংগ্রহ করে কারখানায় তৈরি হবে সার। বিদ্যুত দফতর একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
• পানীয় জল ও নিকাশির সমস্যা রয়েছে। বর্ষায় রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
মহম্মদ রশিদ, নজরবাদ আশগরপল্লি
সভাপতি: ওই এলাকায় রাস্তার সমস্যা মিটেছে। তবে নিকাশি নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তা জানতাম না। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েতের নজরে আনুন। যৌথ ভাবে সঙ্কট মেটানো হবে। মদনপুরে ২০ কোটি টাকা খরচ করে একটি জল প্রকল্প তৈরি হবে।
• অন্ডাল গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র থাকলেও ডাক্তার নেই। ভরসা একমাত্র দুর্গাপুর মহকুমা হাসাপাতাল। এলাকায় খেলার মাঠ হারিয়ে গিয়েছে। ছোটদের জন্য পার্কও নেই। অন্ডাল মোড় থেকে রেল স্টেশন যাওয়ার রাস্তার সম্প্রসারণ দরকার। রয়েছে যানজটের সমস্যাও।
লালু নায়েক, অন্ডাল গ্রাম
সভাপতি: আগে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারপাশ ফাঁকা থাকায় কোনও ডাক্তার থাকতে চাইতেন না। এখন এলাকা জমজমাট হলেও ডাক্তার আনা যায়নি। বাসকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থায়ী চিকিৎসক নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। কুঠিডাঙায় তৈরি হচ্ছে ইকো ট্যুরিজম পার্ক। থাকবে খেলার মাঠ ও পিকনিকের জায়গা। রাস্তা থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।
• অন্ডাল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা দরকার।
স্বপন চক্রবর্তী, অন্ডাল গ্রাম
সভাপতি: এলাকার এই দাবি দীর্ঘদিনের। আপনারা সমিতিকে প্রস্তাব পাঠান। সেই প্রস্তাব আমরা শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেব।
• অন্ডাল ব্লকের অন্যতম বড় মাঠ খান্দরা ফুটবল মাঠ। অথচ ওই মাঠের দু’পাশের জমি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। জবরদখল আটকাতে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য পদক্ষেপ করা হলে ভাল হয়। সংস্কার দরকার অন্ডাল–উখড়া রাস্তাটিরও।
দিবাকর চক্রবর্তী, খান্দরা
সভাপতি: বিএলআরও দফতরে আবেদন করে সমিতিতে তার প্রতিলপি জমা দিন। আমরা ওই দফতরকে দিয়ে মাঠের জমি চিহ্নিত করাব। পরে মাঠের চারপাশে গাছ লাগানো হবে। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য জেলা ক্রীড়া দফতরেও প্রস্তাব পাঠানো হবে।
• খান্দরা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে গবেষণাগার ও খান্দরা বাজারে শৌচালয় নেই। পরিকাঠামোগত উন্নতির দরকার খান্দরা হাটেরও।
দোলন কর্মকার, খান্দরা
সভাপতি: ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা সিএসআর প্রকল্পের টাকায় গবেষণাগার ও হাটের পরিকাঠামোগত উন্নতি করবে। জায়গা মিললে শৌচাগার তৈরি করবে সমিতি।
• ইসিএলের বিদ্যুতই ভরসা। ওই বিদ্যুতে কম্পিউটার চলে না। এলাকায় বহু চাষের জমি থাকলেও নেই সাবমার্সিবল পাম্প।
পার্থ দেওয়াসি, মদনপুর
সভাপতি: রাজ্য সরকারের বিদ্যুতের লাইন না থাকায় গত বছর মদনপুরের জন্য ৪টি সাবমার্সিবল পাম্পের টাকা অনুমোদন করা হলেও তা খরচ করা যায়নি। বিদ্যুদয়নের জন্য বিডিও সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। দ্রুত কাজ শুরু হবে।
• গ্রামে পিকনিক স্পট তৈরির ঘোষণা করা হলেও কাজ শুরু হয়নি। মঙ্গলপুর–ধান্ডাডিহি প্রধান রাস্তা ও জাতীয় সড়ক থেকে পলাশবন যাওয়ার রাস্তা বেহাল।
অজয় পাত্র, ধান্ডাদিহি
সভাপতি: এনআরজেএস-এর টাকায় পিকনিক স্পট তৈরি হবে। পলাশবন রাস্তাটির জন্য ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ধান্ডাডিহির রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এডিডিএ-এর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
• উঁচুপাড়ায় জল মেলে না। প্রধানকে জানিয়েও নিকাশি ও সাফাইয়ের সমস্যা মেটেনি।
অমিতাভপ্রসাদ মিত্র, দক্ষিণবাজার
সভাপতি: জল সমস্যা মেটাতে নতুন প্রকল্প চালু হবে। আপনারা অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। সাফাইয়ের সমস্যা নিয়ে প্রধানের কাছে লিখিত প্রস্তাব দিন। তার প্রতিলিপি সমিতিতে পাঠান।
• মাঝেসাঝেই পাইপলাইন ফেটে যায়। জলের সমস্যা রয়েছে ওয়ার্কশপ কলোনি, কুঠিডাঙায়। এ ছাড়া শ্রীরামপুর থেকে ওয়ারিয়া পর্যন্ত এলাকায় পাড় ভাঙছে দামোদরের।
তপন দালাল, শ্রীরামপুর
সভাপতি: ১০ লাখ টাকা খরচ করে পাইপলাইনের একাংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। ওয়ার্কশপ কলোনি ও কুঠিডাঙায় পাইপলাইনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। শ্রীরামপুর থেকে ওয়ারিয়ায় দামোদরের পাড় বাঁধতে সেচ দফতর ১০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। দু’ধাপে কাজ শেষ হবে।
• স্টেডিয়ামের জন্য রাজীব গাঁধী খেল প্রকল্পে ১ কোটি ৯৭ হাজার টাকা অনুমোদন হলেও তা পড়ে রয়েছে। দক্ষিণখণ্ড বিদ্যালয় লাগোয়া মাঠে পাঁচিল দেওয়ার কাজ কবে শেষ হবে?
স্বপনকুমার হাজরা, দক্ষিণখণ্ড
সভাপতি: ভোটের জন্য স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হয়নি। পাঁচিল দেওয়ার বাকি কাজ ডিভিসি করবে।
• এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। কল থাকলেও জল পড়ে না।
শেখ জাকির হোসেন ও ধনঞ্জয় মণ্ডল, সাফিকনগর ও উখড়া
সভাপতি: জলপ্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। রেলের অনুমতি না মেলায় এখনও দু’জায়গায় রেল লাইনের তলা দিয়ে পাইপ পাতার কাজ হয়নি।
• এলাকার একটি বড় পুকুরে বাঁধানো সিঁড়ি ঘাট দরকার।
শ্রীধর বাউরি, উখড়া
সভাপতি: পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠান। কাজ শুরু হবে।
• সিঙ্গারণ নদীর দু’পাশে বাঁধানো পাড় দরকার। বছর দশেক আগে নদীর উপরে তারকডাঙার সেতুটি তৈরি হয়। কিন্তু ৫ বছর ধরে তা বন্ধ। কবে ফের সেতুটি চালু হবে?
শশী চৌবে, নর্থ বাজার
সভাপতি: সিঙ্গারণ নদীর দু’পাড় বাঁধানোর পরিল্পনা অনুমোদনের অপেক্ষায়। তারকডাঙায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্যদের সাহায্যে নতুন সেতু তৈরির জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দরপত্র ডাকার তোড়জোড় চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy