Advertisement
E-Paper

পুরোপুরি খুলল রেলসেতু, চলবে না তিন চাকা

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের ডিআরএম (হাওড়া) বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে জানান, সেতু নির্মাণকারী সংস্থা ‘আরভিএনএল’ সমস্ত পরীক্ষার পরে জানিয়ে দিয়েছে, সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচলে কোনও অসুবিধা নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৩২
প্রথম দিনে চলছে বাস-গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

প্রথম দিনে চলছে বাস-গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

সব জট কাটিয়ে পুরোপুরি খুলে গেল বর্ধমানের রেলসেতু। শুক্রবার বিকেল থেকেই শুরু হল গাড়ি যাতায়াত।

তার আগে দিনভর ডিএসপি (সদর) শৌভিক পাত্রের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ রেল ও সেতু নির্মাণকারী সংস্থা ‘আরভিএনএল’-এর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে। কোথা দিয়ে কোন গাড়ি চলবে, সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। দুপুরের দিকে রেলের তরফে সেতুর ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় দু’বার ওই সেতু ঘুরে দেখে কোথায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে ত্রুটি রয়েছে, তা রেল কর্তৃপক্ষকে জানান। বিকেলের দিকে রেলের তরফে সেতুতে ওঠার মুখে আটকানো ব্যারিকেডগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, “ওই সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণের জন্যে ৭০জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তবে দু’চাকা ও তিন চাকার গাড়ি যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। পথচারীদের চলাচলও কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থেকে কাটোয়ামুখী গাড়িগুলি সেতুতে উঠে ডান দিক দিয়ে কাটোয়ার দিকে নেমে যাবে। আর কাটোয়া থেকে কালনার দিকে আসা গাড়িকে সেতুতে উঠতে দেবে না পুলিশ। তারা শোলাপুকুরের মসজিদের সামনে দিয়ে যাবে। এ ছাড়া, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘স্পিড’ বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংযোগকারী রাস্তার মুখে ছোট ছোট ‘হাম্প’ করার জন্যে পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে। ‘হাম্প’ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের ডিআরএম (হাওড়া) বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে জানান, সেতু নির্মাণকারী সংস্থা ‘আরভিএনএল’ সমস্ত পরীক্ষার পরে জানিয়ে দিয়েছে, সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচলে কোনও অসুবিধা নেই। এ দিন সকাল ৭টায় ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে তার আগে কিছু বিজেপি কর্মী ব্যারিকেড সরিয়ে মোটরবাইকে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতে দিতে ওই সেতু দিয়ে চক্কর কাটেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য রেল তা ফের বসিয়ে দেয়। বিকেল ৫টায় তা পাকাপাকি ভাবে খুলে দেওয়া হয়।

সেতুতে দাঁড়িয়ে বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দী বলেন, “বিজেপি সরকার আসার পরেই সেতুর কাজে গতি বেড়েছে। আর রাজ্য সরকার নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে উদ্বোধন করেছে। রেলকেও আমন্ত্রণ জানায়নি। তাই আমাদের ছেলেরা সকালে সেতু খুলতেই মোটরবাইক নিয়ে ঘুরেছে।’’ তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, “উদ্বোধন তো হয়েই গিয়েছে। প্রশাসনিক ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শুক্রবার।’’

Railway Bridge Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy