মন্দির লাগোয়া ঘরেই চুরি হয়।নিজস্ব চিত্র।
আগের রাতেই চুরি গিয়েছিল রাধাগোবিন্দ মন্দিরে। পরের দিন অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের শ্যামবাটি গ্রামের মন্দির লাগোয়া ক্লাব ঘরের তালা ভেঙে বাসনপত্র ও সোনার গয়না খোওয়া যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই শ্যামবাটি ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামে পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ছ’টা নাগাদ পুজো করতে এসে ক্লাবঘরের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান সেবাইত সতীরানি মণ্ডল। তাঁর দাবি, দরজা ঠেলে ভিতরে গিয়ে দেখেন সব লন্ডভন্ড। ঠাকুরের গয়নার বড় বাক্স ও একটি টিভি নেই। এরপরেই আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান তিনি। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে সাহেবতলা ও অগ্রদ্বীপ স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধারের ক্যানেলে ফাঁকা গয়নার বাক্সটি মেলে। গ্রামবাসী বিকাশচন্দ্র ঘোষ, দীপক মণ্ডলদের দাবি, কাঁসা, পিতলের বাসন ও ঠাকুরের প্রায় পনেরো ভরি সোনার গয়না চুরি গিয়েছে।
সোমবার রাতেও ওই গ্রামের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে একই কায়দায় বাসনপত্র চুরি হয়েছে বলে জানান বাসিন্দারা। পাশের বীণানগর, নতুনগ্রামেও চুরির ঘটনা প্রায়শই ঘটছে বলে তাঁদের অভিযোগ। সোমবার রাতেই নতুনগ্রামে জগদ্ধাত্রী মন্দিরে ও বীণানগরে গোবিন্দ পাহাড়ী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বাসনপত্র ও হোম থিয়েটার চুরি যায়। বারবার চুরি হওয়ায় স্বভাবতই আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। সাহেবতলা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির রমরমার জন্যই অসামাজিক কাজ বাড়ছে বলে দাবি তাঁদের। স্থানীয় অশোক দেবনাথ, ভীম মণ্ডলদের অভিযোগ, ‘‘সাহেবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসে মদ্যপান করে এলাকার কিছু ছেলে। স্কুল থেকে ৫০ ফুট দূরে মদ বিক্রী হয় বলে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি আমরা।’’ অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েত প্রধান নিতাই সুন্দর মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘চুরির ঘটনা শুনেছি। থানায় অভিযোগ জানাতে বলেছি।’’ তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চুরির ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy