Advertisement
E-Paper

ভাড়াটেকে মারের নালিশ, ক্ষোভ পুলিশের ভূমিকায়

বাড়ির মালিকের হাত আক্রান্ত হতে পারেন আশঙ্কায় ভাড়াটে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ডাক মারফত অভিযোগ জানানো হয় রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছেও। কিন্তু তার পরেও বরাচকের বাসিন্দা ওই ভাড়াটেকে মঙ্গলবার মারধর করে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ উঠল বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪৬

বাড়ির মালিকের হাত আক্রান্ত হতে পারেন আশঙ্কায় ভাড়াটে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ডাক মারফত অভিযোগ জানানো হয় রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছেও। কিন্তু তার পরেও বরাচকের বাসিন্দা ওই ভাড়াটেকে মঙ্গলবার মারধর করে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ উঠল বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে।

বরাচকের বাসিন্দা কৃষ্ণা সিংহ জানান, তিনি ও তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয়বাবু বছর আটের ধরে গোপাল নুনিয়ার বাড়িতে ভাড়া রয়েছেন। গোপালবাবু মাস ছয়েক আগে ৯ লক্ষ টাকায় বাড়ি বিক্রির প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে কৃষ্ণাদেবী ও তাঁর স্বামী এক লক্ষ টাকা অগ্রীম দেন বলেও দাবি। কিন্তু মাসখানেক আগে বাকি টাকা নিয়ে বাড়িটি রেজেস্ট্রি করে দেওয়ার অনুরোধ জানালে গোপালবাবু বেঁকে বসেন বলেন অভিযোগ। কৃষ্ণাদেবীর অভিযোগ, “অগ্রিম টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করে উল্টে গোপালবাবু বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দরকারে জোর করেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন।’’ এর পরেই মৃত্যুঞ্জয়বাবু ২ মার্চ আসানসোল দক্ষিণ থানায় গোপালবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রেজেস্ট্রি করে পাঠান। অভিযোগ দায়ের করার পর গোপালবাবুর হুমকি আরও বেড়ে যায় বলে ওই ভাড়াটের দাবি। গোপালবাবু কুমারপুর এলাকার রাজু বলে এক সমাজবিরোধীকে সঙ্গে নিয়ে হুমকি দিতে থাকেন, ঘর না ছাড়লে খুন করা হবে। ১১ মার্চ কৃষ্ণাদেবী আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে পুরো বিষয়টি জানান।

সপ্তাহখানেক আগে এক দুপুরে সদলবলে গোপালবাবুরা কৃষ্ণাদেবীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। হামলার সময় মৃত্যুঞ্জয়বাবু বাড়িতে ছিলেন না বলে জানান কৃষ্ণাদেবী। গোপালবাবুরা গ্যাস কাটার দিয়ে দরজা কেটে ভেতরে ঢোকে বলে অভিযোগ। লুট করা হয় বেশকিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। কৃষ্ণাদেবীরা আসানসোল দক্ষিণ থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ জানানো হয় আসানসোল পুলিশ কমিশনারের কাছেও। কিন্তু ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়ির মালিক গোপালবাবু বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে কেউ কোনওদিন ভাড়াই ছিল না।’’ ভাড়া দেওয়ার কোনও চুক্তিপত্র নেই বলেও গোপালবাবুদের দাবি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকায় ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য সাধারণভাবে কেউই চুক্তি করায় না। পরিচয়ের ভিত্তিতেই ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ যদিও মানতে চাননি এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।’’

raniganj Police homeowner renter Asansol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy