Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে চিঠি বৈদ্যপুরের বাসিন্দাদের

পুরস্কার পেতে ভুল তথ্য, নালিশ

ভাল কাজের জন্য পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে গিয়েছে কেন্দ্রের দল। মিলতে পারে পুরস্কার, জানিয়েও গিয়েছেন সেই দলের সদস্যেরা। কিন্তু এলাকায় সত্যি কতটা ভাল কাজ হয়েছে, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহকুমাশাসককে চিঠি দিলেন কালনার বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের শ’চারেক বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২৪
Share: Save:

ভাল কাজের জন্য পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে গিয়েছে কেন্দ্রের দল। মিলতে পারে পুরস্কার, জানিয়েও গিয়েছেন সেই দলের সদস্যেরা। কিন্তু এলাকায় সত্যি কতটা ভাল কাজ হয়েছে, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহকুমাশাসককে চিঠি দিলেন কালনার বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের শ’চারেক বাসিন্দা।

রাজ্যের একটি করে পঞ্চায়েতকে ‘নানাজি দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে কেন্দ্র। রাজ্যস্তরের একটি দল সব দিক খতিয়ে দেখে এ বার সেই পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত করে বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের নাম। সম্প্রতি কেন্দ্রের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈদ্যপুরে এসে পঞ্চায়েতের নানা কাজ ঘুরে দেখেন। ব্লক প্রশাসনের দাবি, ওই সদস্যেরা জানিয়ে গিয়েছেন, এই পঞ্চায়েত এ বার পুরস্কার পেতে চলেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই খবর জানার পরেই পঞ্চায়েতের নানা গ্রামে ক্ষোভ তৈরি হয়। সাবিদপুর, আটকেটিয়া, ওসমানপুর, রামনগর গ্রামের বাসিন্দারা মহকুমাশাসককে (কালনা) চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন, ভাল কাজের জন্য পঞ্চায়েত পুরস্কার পেতে চলেছে, এ কথা জেনে তাঁরা বিস্মিত হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, গত তিন বছরে পঞ্চায়েতের কোনও গ্রামেই কোনও গ্রামসভার বৈঠক হয়নি। গণ্ডগোল রয়েছে ১০০ দিনের কাজ নিয়েও। পঞ্চায়েত এলাকায় এই প্রকল্পে কম কাজ পেয়েছেন শ্রমিকেরা। কর্মদিবস তৈরি হয়েছে যথেষ্ট কম। অথচ, নানা কাজের কথা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দাবি করে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নিজেদের সফল বলে দাবি করেছেন।

মহকুমাশাসককে পাঠানো গণস্বাক্ষর করা ৬ পাতার চিঠিতে গ্রামবাসীর আরও অভিযোগ, পুরস্কার পাওয়ার জন্য স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর বিভিন্ন বৈঠকের ছবি তুলে এবং গ্রাম সংসদের খাতায় তাঁদের সই করিয়ে পঞ্চায়েত সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেছে। এমন কাজের জন্য তাঁরা এলাকাবাসী হিসেবে অপমানিত বোধ করছেন ও তদন্ত চাইছেন বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা। চিঠিতে সই করা বাসিন্দা মলয় নন্দী, মধুসূদন পালেরা দাবি করেন, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েত যেমন কাজ করেছে তা মহকুমার বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত করেছে। অথচ, তারা পুরস্কারের তালিকায় আসেনি। পঞ্চায়েত সম্পর্কে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।’’

যদিও এ সব অভিযোগ মানতে নারাজ বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ রায়। তিনি বলেন, ‘‘কারা অভিযোগে কী লিখেছেন, আমার জানা নেই। এই পুরস্কার পেতে গেলে ২১টি প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে হয়। আমরা তা দিয়েছি। তা ছাড়া জেলা, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা কাজকর্ম পরীক্ষা করে গিয়েছেন। এর পরও কেন প্রশ্ন উঠছে জানি না!’’ মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE