Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

চালকলে ভর্তুকি পেতে দেরি, গাফিলতির নালিশ

চালকল সমিতির দাবি, আধুনিক মানের একটি চালকল তৈরি করতে গড়ে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়। ভর্তুকির টাকা পেলে অনেকটাই সাশ্রয় হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০৮
Share: Save:

জেলা শিল্প কেন্দ্রের গাফিলতির জন্য চালকল তৈরির পরেও উৎসাহ ভাতা মিলছে না, খাদ্য দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে এমনই অভিযোগ করল জেলা চালকল মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনিক বৈঠকে নিগমের জেনারেল ম্যানেজারকে রীতিমতো তোপ দাগেন সমিতির কর্তারা। সমিতির কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক শুক্রবার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পুন্ডরীকাক্ষ সাহাকে চিঠিও দেন। পুন্ডরীকাক্ষবাবু তাঁদের যথাযথ ভূমিকা পালন করার আশ্বাস দিয়েছেন।

আধুনিক মানের চালকল তৈরি করার জন্য ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে উদ্যোগপতিদের উৎসাহ ভাতা ও ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে খাদ্য দফতর। অনুমোদন পেলে সরকার বিদ্যুৎ, ব্যাঙ্কের সুদ ও আধুনিক যন্ত্র কেনার জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেবে। যা কার্যত প্রকল্পের ‘পুঁজি’ হিসেবেই দেখবেন বিনিয়োগকারীরা। চালকল সমিতির দাবি, আধুনিক মানের একটি চালকল তৈরি করতে গড়ে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়। ভর্তুকির টাকা পেলে অনেকটাই সাশ্রয় হয়। চালকল মালিকদের কথায়, সরকারের সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য তাঁদের অনেক টাকা লগ্নি করতে হয়। ডিজেলের দাম উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় পরিবহণ খরচও বাড়ছে। এ অবস্থায় ভর্তুকি ও ভাতা পেতে দেরি হলে মুশকিল।

জানা যায়, রাজ্যে ২৫টি চালকল এখনও ভর্তুকি পায়নি। তার মধ্যে এ জেলার ন’টি। তবে কেন্দ্র সরকারের ভর্তুকি ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে অর্ধেক টাকা মিলেছে। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রকল্পের অনুমোদন থেকে ভর্তুকি ও উৎসাহ ভাতা নিয়ে আসার দায়িত্ব জেলা শিল্প কেন্দ্রের। অথচ শিল্প কেন্দ্রের অহেতুক ঢিমেতালে কাজ করা, অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন কাগজ নিয়ে খুঁতখুতানির জন্য সরকারের ঘরে সময়ে ভর্তুকির নথি জমা পড়ছে না। এ ছাড়াও যুক্তিহীন ভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন সমিতির কার্যকরী সভাপতি।

চালকল মালিকদের দাবি, “একসময় বর্ধমান জেলায় প্রায় ৪৫০টি চালকল ছিল। এখন সেখানে ৩৯৫টি চালকল রয়েছে। যার মধ্যে রায়না-খণ্ডর্ঘোষ এলাকাতেই রয়েছে ২৫০টি। সেখানকার চালকল মালিকেরা ভর্তুকি না পেলে বিনিয়োগ করবে কী ভাবে? অথচ সরকার বলছে, চালকল কম এমন ব্লকে বিনিয়োগ করতে।’’

যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ কর। তিনি বলেন, “আমি এক বছরের মধ্যে ৫০টি চালকলের ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছি। তিন জন আধিকারিককে দেখভালের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা। অনেক চালকল থাকায় চাপের জন্য একটু দেরি হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE