যানজটে কাটাতে আলোচনায় জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। নিজস্ব চিত্র।
শিল্প বাঁচানোর ডাক দিয়ে সিপিএমের ডাকা সভার জেরে রীতিমতো যানজট হল ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। আসানসোল যাওয়ার পথে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা আটকে রইলেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনও। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভও দেখান সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। শেষে সিপিএম নেতারা তৎপর হয়ে ভিড় সরিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
শিল্প বাঁচানোর আর্জি নিয়ে এ দিন সিটি সেন্টার অভিযানের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডের উল্টো দিকে জাতীয় সড়কের দক্ষিণে পলাশডিহার কাছে ছোট ট্রাকের উপরে অস্থায়ী মঞ্চ বাঁধা হয়। সময় যত গড়ায়, তত ভিড় বাড়ে। এক সময়ে তা জাতীয় সড়ক ছাড়িয়ে সিটি সেন্টারের দিকে পৌঁছে যায়।
সকাল ১১টা নাগাদ জাতীয় সড়ক ধরে জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কনভয় পলাশডিহা মোড়ে এসে আটকে যায়। প্রথমে পুলিশ কনভয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা জেলাশাসকের গাড়ি ধরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন নানা বিষয়ে শাসকদলের প্রতি পক্ষপাত করছে। বিরোধীদের অকারণে হেনস্থা করা হচ্ছে। জেলাশাসকের গাড়িতে কেউ-কেউ ধাক্কাও দেন বলে অভিযোগ। তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। অভিযোগ, সেই সময় বিক্ষোভকারীদের জেলাশাসককে লক্ষ করে কটূক্তিও করা হয়।
খবর পেয়ে সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায়সরকার জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেন। তার পরে তিনি আসানসোলে রওনা হন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক অবশ্য বলেন, ‘‘প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ভিড়ের চাপে জাতীয় সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন জেলাশাসকের কনভয় আটকে যায়। তবে আমাদের নেতৃত্ব ভিড় সরিয়ে রাস্তা খালি
করে দেন।’’
জেলাশাসক বলেন, ‘‘রাস্তা ফাঁকা করে দিতে বলায় অনেকে হইচই করছিলেন। পুলিশের কথাও শুনছিলেন না। বিক্ষোভের নেতৃত্বকে জানিয়েছি, শুধু আমার জন্য নয়, সমস্ত গাড়ি চলাচলের জন্যই ভিড় সরাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy