পথ দুর্ঘটনায় মহম্মদ শাহনওয়াজ (২৮) নামে রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে সালানপুর থানার রামডির ঘটনা। মৃত যুবক তৃণমূলের সালানপুর ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ আরমানের ছোট ছেলে। ঘটনাটি সামনে আসার পরেই এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে পথ নিরাপত্তা আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিত্তরঞ্জন রোডের রামডিতে রাস্তায় বাঁক নেওয়ার মুখে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়েরা শাহনওয়াজকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। টহলরত পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, উল্টো দিক থেকে আসা একটি গাড়ি ওই যুবককে ধাক্কা মারে। কেউ আবার দাবি করেছেন, মোটরবাইকটি দ্রুত গতিতে থাকায় রাস্তার বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়েন শাহনওয়াজ। তবে দুর্ঘটনাস্থলে কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকায় এখনও পর্যন্ত প্রকৃত কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক আইসি শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ দিকে, এলাকাবাসীর একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথমত, দুর্ঘটনাস্থলে একটি বাঁক থাকায় উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ি ঠিক ভাবে দেখা যায় না। দ্বিতীয়ত, ঠিক ওই স্থানে রাস্তার পাশে বেশ কিছু গাছ আছে। সেগুলির জন্য রাস্তাটি ভাল ভাবে বোঝা যায় না। তৃতীয়ত, দুর্ঘটনাস্থলে পথবাতি নেই। ফলে, রাতে উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির আলোর প্রতিফলনে রাস্তা ঠিক মতো বোঝা যায় না। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সন্ধ্যার পরে প্রায় দিনই এই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটছে। উক্ত সমস্যাগুলি সমাধানের পাশাপাশি বাঁকের মুখে দু’পাশের দখল সরিয়ে রাস্তা আরও চওড়া করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “স্থানীয়দের দাবিগুলি কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” পাশাপাশি, পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি এই রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে, মসৃণ রাস্তায় মোটরবাইকের গতিও বেড়েছে। গতি কম করতে রাস্তায় স্পিড ব্রেকার তৈরি করা হবে। সে সঙ্গে পথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মণ্ডল জানান, পুলিশ নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলে সেগুলি কার্যকর করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)