Advertisement
০২ মে ২০২৪
Land Slide

রানিগঞ্জে আবার ধস! ফেটে চৌচির রাস্তা, বাড়ির সামনে গর্ত, আতঙ্কিত স্থানীয়রা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই আশঙ্কা করেছিলেন যে, রানিগঞ্জের এই এলাকাতে বিপর্যয় ঘটলে ২০-৩০ হাজার মানুষের বিপদ হতে পারে। কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেও অভিযোগে করেন তিনি।

Row over landslide in Raniganj area

বাড়ির সামনে ধস নামায় প্রশাসন থেকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৪
Share: Save:

বৃষ্টি নামলেই যেমন পাহাড়ে ধস নামে তেমনই খনি অধ্যুষিত আসানসোলের রানিগঞ্জে এলাকাতেও ধস শুরু হয়েছে। সেই ধসের জেরে রাস্তা ফেটে গিয়েছে। বাড়ির সামনে বড় বড় গর্ত দেখা গিয়েছে। এর জেরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার ষষ্ঠীতলায় বাসিন্দাদের মধ্যে। এক এক জায়গায় প্রায় তিন ফুট থেকে ছ’ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

বল্লভপুরের ওই এলাকাটি প্রথম থেকে ধস কবলিত বলে চিহ্নিত। কিন্তু পুনর্বাসন না মেলায় এখনও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করতে হচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। আবার ধসের খবর পাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন এবং ইসিএল কর্তৃপক্ষ জায়গাটিকে ‘বিপজ্জনক’ লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। ভুলেও যাতে স্থানীয় মানুষজন সেখানে না যান, তাই এই ব্যবস্থা। কিন্তু এই বিশালাকার গর্ত থেকে আবারও যে ধস নামবে না, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। তার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। সিপিএম অভিযোগ করছে ধস কবলিত এলাকা বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে গড়িমসি করছে রাজ্য সরকার। এমনকি, ধস শুরু হওয়ার পর দু’জন মাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করে দায় সেরেছে প্রশাসন। তা ছাড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা বিডিও— কেউ এলাকায় যাননি।

যদিও সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মীনা ধীবরের দাবি, তিনি খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর ব্লক নেতৃত্বকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। সেখান থেকে পুলিশ হয়ে বিডিওকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এমনকি, ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি জানান, ধস কবলিত এলাকার পাশেই রয়েছে অমৃতনগর কোলিয়ারি। সেখানকার ম্যানেজারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভূগর্ভে কয়লা কাটার জন্যই এই অবস্থা।

প্রসঙ্গত, গত বছর জানুয়ারি মাসেই যখন জোশীমঠে ধস নামে ঠিক সেই সময়ই রানিগঞ্জের বল্লভপুরের এলাকাটিতেও ধস নেমেছিল। মাটির ফুঁড়ে বের হচ্ছিল গল গল করে ধোঁয়া। তখন ইসিএল কর্তৃপক্ষ ধসপ্রবণ এলাকাটিকে ভরাট করে দেন। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, রানিগঞ্জের এই এলাকাতে বিপর্যয় ঘটলে ২০-৩০ হাজার মানুষের বিপদ হতে পারে। তা ছাড়া বিপর্যয় ঠেকাতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেও অভিযোগে করেন তিনি। সেই রানিগঞ্জেই বিভিন্ন এলাকায় সারা বছর ধরে ধস নেমেই চলেছে বলে অভিযোগ। যদিও প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই প্রসঙ্গে রানিগঞ্জের বিডিও অভীককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ইসিএলকে জানিয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Land Slide Raniganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE