Advertisement
E-Paper

প্রাণিমিত্রাদের দ্বিগুণ মজুরির ঘোষণা মন্ত্রীর

প্রতি পঞ্চায়েতে ২ জন করে প্রাণিমিত্রা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। কিন্তু তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি। এ বার তাই বর্ধমানে এ কাজে আগ্রহীদের মজুরি দ্বিগুণ করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন মন্ত্রী। দফতরের আধিকারিকদের এ কথা প্রচারেরও নির্দেশ দেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৫ ০১:৫৬
প্রাণিমিত্রাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। —নিজস্ব চিত্র।

প্রাণিমিত্রাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। —নিজস্ব চিত্র।

প্রতি পঞ্চায়েতে ২ জন করে প্রাণিমিত্রা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। কিন্তু তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি। এ বার তাই বর্ধমানে এ কাজে আগ্রহীদের মজুরি দ্বিগুণ করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন মন্ত্রী। দফতরের আধিকারিকদের এ কথা প্রচারেরও নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ফাগুপুরে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, জেলার ২৭৭টি পঞ্চায়েতে মোট ৫৫৪ জনতে এ পদে নিয়োগ করা হবে। এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ৭০টি পঞ্চায়েত থেকে কোনও আবেদনই জমা পড়েনি। আগ্রহ বাড়াতে প্রাণিপিছু টিকাকরণের মজুরি এক টাকা থেকে বাড়িয়ে দু’টাকা করা হয়েছে। ২ থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও তাঁর দাবি। স্বপনবাবু আরও জানান, জেলা জুড়ে দশ লক্ষ হাঁস, মুরগি, ছাগলকে রোগ প্রতিরোধক টীকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কোনও কর্মী যদি দিনে দেড়শোটি পশুকে প্রতিষেধক দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে মাসে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে। এতে এক দিকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাজ পাবেন, আর এক দিকে কলেরা-সহ নানা রোগ থেকে রেহাই পাবে গ্রামাঞ্চলের পশুরা।

এ দিন কয়েকজন প্রাণিমিত্রার হাতে প্রয়োজনীয় কিট, সিরিঞ্জ ও যন্ত্রপাতিও তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের জন্য বিশেষ পুস্তিকা ও সিডি-রও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ ছাড়া প্রাণিদের জন্য বিমা, তাদের খাবারের জন্য ডিলারশিপ এবং পশুখাদ্য পরীক্ষার জন্য গবেষণাগার তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। জামালপুর, পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল প্রভৃতি ব্লকে পশু চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী, ন্যূনতম মাধ্যমিক পাশদের প্রাণিমিত্রা হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। পরে গ্রামে গ্রামে ঘোরার জন্য তাঁদের সাইকেল ও মোবাইল ফোন দেওয়া হবে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের উপ অধিকর্তা শ্রীতনু মাইতে জানান, এ বছরে ৬ লক্ষ হাঁস-মুরগির বাচ্চা বিলি করা হবে।

অনুষ্ঠানে ২৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে পশু পালনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। মন্ত্রী দাবি করেন, কৃষির পরে প্রাণিসম্পদই গ্রামীণ কর্মসংস্থানের বড় ক্ষেত্র। সরকারের তরফে দুধ, মাংস, ডিম উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। পশু চিকিৎসার পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা চলছে বলেও তাঁর দাবি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘টীকাকরণ,সচেতনতা, রোগ প্রতিরোধক কর্মসূচি ও পশু চিকিৎসার জন্য রাজ্যে ৪০টি ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল ক্যাম্প চালু হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে পশুদের চিকিৎসা করবে এই দলগুলি। আউশগ্রাম ২, মেমারি ২ এবং পূর্বস্থলী ২ ব্লকে এই ভ্যান চালু হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।

Prani Mitra Salary Bardhaman panchayet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy