কার্তিক ঠাকুরের পসরা। নিজস্ব চিত্র।
করোনাভাইরাস এবং তার ফলে হওয়া লকডাউনের জেরে বছরের শুরুতেই মার খেয়েছে ব্যবসা। হালখাতায় লক্ষ্মী এবং গণেশের মূর্তির বিক্রি হয়নি বললেই চলে। দুর্গা এবং কালীপুজোও চলে গিয়েছে। উৎসবের শেষ লগ্নে এ বার কার্তিক ঠাকুর বিক্রি করে ঘাটতি কিছুটা মেটাতে চাইছেন মৃৎশিল্পীরা।
রবিবার থেকেই বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্বরে কার্তিকের হাট বসেছে। ছোট, বড়, মাঝারি— সব রকম সাইজের মূর্তি সাজিয়ে বসেছেন মৃৎশিল্পীরা। শুধু কার্জন গেটই নয়। আদালত চত্বর থেকে বিসি রোড, নীলপুর বাজার সব জায়গাতেই কার্তিক যেন স্বমহিমায় হাজির। লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার জেরে গতি পেয়েছে বর্ধমান শহর। এতেই আশায় বুক বেঁধেছেন মৃৎশিল্পীরা।
নীলপুরের বাসিন্দা মৃৎশিল্পী জয়ন্ত কর্মকার বলেছেন, ‘‘কার্তিকের চাহিদা আছে। আশা করছি পুজোর আগে সব মূর্তিই বিক্রি হয়ে যাবে।’’ তবে লকডাউনের জন্য মূর্তির দাম বাড়াতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ লকডাউনে মূর্তি তৈরির উপকরণ কলকাতা থেকে ঠিকমতো আসছে না। স্থানীয় বাজারে চড়া দাম দিয়ে ঠাকুর তৈরির বিভিন্ন উপকরণ কিনতে হচ্ছে। তাই মূর্তি পিছু দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
এতে ক্রেতারাও খুব একটা অখুশি নন। বিপ্লব সিংহ নামের এক ক্রেতা বলেছেন, ‘‘দাম হয়তো একটু বেড়েছে। তবে তা আয়ত্তের মধ্যেই আছে।’’ আর এক ক্রেতা কুসুমিতা চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘দাম নাগালের মধ্যেই আছে।’’ মূর্তি বিক্রির বাজার ধরতে মৃৎশিল্পীদের শেষ ভরসা কার্তিক।
আরও পড়ুন: সপ্তাহখানেক আগে খোয়া যাওয়া গাড়ি উদ্ধার পুলিশের
আরও পড়ুন: কালীপুজোর রাতে আগুন, কুলটিতে পুড়ে গেল গোটা বাড়ি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy