Advertisement
E-Paper

কী ভাবে নিষ্কাশন বর্জ্য, নজর নার্সিংহোম, হাসপাতালে

পুরসভার ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে এ বার নজর দেওয়া হচ্ছে শহরের নানা হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থায়। সম্প্রতি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে এ বিষয়ে একটি আমন্ত্রণমূলক আলোচনাচক্র ও প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৭ ০২:৩২

পুরসভার ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে এ বার নজর দেওয়া হচ্ছে শহরের নানা হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থায়।

সম্প্রতি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে এ বিষয়ে একটি আমন্ত্রণমূলক আলোচনাচক্র ও প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন হয়। পর্ষদ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ছাড়াও ছিলেন হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্রের কর্তারা। ঠিক হয়, আসানসোল পুর এলাকায় কঠোর ভাবে নতুন ‘বায়ো-মেডিকেল ওয়েস্ট ২০১৬’ আইনের প্রয়োগ করা হবে। এই কাজে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে সাহায্য করবে আসানসোল পুরসভা।

গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে রাজ্য সরকার আসানসোল পুরসভার জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। প্রকল্পের রূপরেখা তৈরির সময়ে পুরসভার আধিকারিকেরা লক্ষ করেন, শহরের হাসপাতালগুলির বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থায় বদল আনা জরুরি। কারণ, শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্রগুলি তাদের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিজ্ঞানসম্মত ভাবে নিষ্কাশন করছে না। সাধারণ বর্জ্যের ভ্যাটে অথবা যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, এ বিষয়ে নজর দেওয়া না হলে ‘গ্রিনসিটি মিশন’ প্রকল্পটি মাঠে মারা যাবে।

বিজ্ঞানসম্মত নিকাশি পদ্ধতি কী, তা জানানোর জন্যই হাসপাতাল ও নার্সিংহোম মালিকদের নিয়ে সম্প্রতি একটি আলোচনাচক্র ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়র সুব্রত ঘোষ জানান, নতুন আইন ‘বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ২০১৬’ প্রণয়ন হয়ে গিয়েছে। এ বার থেকে হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রগুলিকে কঠোর ভাবে সেই আইন মেনে চলতে হবে।

পর্ষদের বিশেষজ্ঞেরা জানান, শহরের অন্য বর্জ্যের সঙ্গে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য মেশানো যাবে না। সেগুলি আলাদা করে নিষ্কাশন করতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির দাবি জানান পর্ষদের আসানসোলের আধিকারিক সুদীপ ভট্টাচার্য।

আসানসোল পুরসভার কমিশনার তথা মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘ওই বর্জ্য অন্য আবর্জনার সঙ্গে ফেলা হলে পুরসভার সাফাইকর্মীরা নিষ্কাশনের সময়ে সমস্যায় পড়েন। আমরা হাসপাতাল ও নার্সিংহোম মালিকদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘পরিবেশের স্বার্থেই মানুষ বা পশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপকরণগুলি আলাদা ভাবে নিষ্কাশিত করতে হবে।’’

বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেন, তাঁরা যতটা সম্ভব ঠিক উপায়ে ওই বর্জ্য নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। তবে এ বিষয়ে যাতে কোনও ভুল না হয়, সে দিকে আরও নজর রাখা হবে বলে তাঁদের আশ্বাস।

State medical council clinical waste Nursing Home
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy