বর্ষা এলেই নাকাল হতে হয় ছোট ছোট পড়ুয়াদের। বৃষ্টি পড়লেই পূর্ব বর্ধমানের চাগ্রাম তফসিলি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শ্রেণি কক্ষের মধ্যেই মাথায় দিতে হত ছাতা। তবে জেলা পরিষদের সাহায্যে সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫২। বর্তমানে শিক্ষিকা তিন জন। বিদ্যালয় সূত্রে খবর, জল পড়ার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। বৃষ্টি হলেই জলে ভেসে যায় একটি শ্রেণিকক্ষ ও মিড ডে মিলের ঘর। ছাত্রছাত্রীদের ছাতা মাথায় দিয়ে বসতে হয়। শিক্ষিকাদেরও হতে হয় নাকাল। তফসিলি অধ্যুষিত এলাকার এই বিদ্যালয় এমনিতে বেশ সাজানো গোছানো। ছাত্রছাত্রীরাও নিয়মিত আসে। তবে চাল থেকে জল পড়া গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা পরিষদের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। মিলেছে আশ্বাস। এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জুলা খাতুন বলেন, ‘‘আমরা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলামের কাছে সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। তিনি বিষয়টি সভাধিপতিকে জানিয়েছিলেন। তার পরেই জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের কক্ষগুলি সারিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সাহায্যে আমরা খুশি।’’
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি কর্মাধ্যক্ষ শান্তুনু কোনার ও জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন ইঞ্জিনিয়রও। পরিদর্শনের পরে কর্মাধ্যক্ষ জানান, ‘‘বিদ্য়ালয়ের পরিকাঠামো ভালই। তবে শেড সংস্কারের প্রয়োজন। শৌচাগারও তৈরি করা দরকার। প্রয়োজন জলের পাম্পের। এই ব্যাপারে সভাধিপতিকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তাঁর নির্দেশেই আমরা এখানে এসেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জেলার স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে সচেষ্ট হয়েছে জেলা পরিষদ।’’ জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষিকা সমস্যার কথা বলার পরেই আমি বিষয়টি সভাধিপতিকে জানিয়েছিলাম।খুব তাড়াতাড়ি সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’