E-Paper

নজরে রাজস্ব, মদের দোকান খুলতে সমীক্ষা জেলায়

চোলাই বিক্রি ঠেকাতে সরকার কড়াকড়ি করছে। আবগারি ও পুলিশ নিয়মিত বড় বড় ঠেকগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে। চোলাই পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

রাজস্ব বাড়াতে সরকারের অন্যতম ভরসা আবগারি বিভাগ। সে কারণে জেলায় আর কোথায় নতুন মদের দোকান খোলা যেতে পারে, তার একটি প্রাথমিক সমীক্ষা করেছে এই দফতর। বেশ কিছু এলাকা চিহ্নিত করে সরকারের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রায় ৬২টির এলাকাকে এ বিষয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সরকারি কোষাগার ভরাতেই এ ধরনের পদক্ষেপ বলে মনে করছে নানা পক্ষ।

জেলা প্রশাসন বা আবগারি দফতর এ নিয়ে বিশদে কিছু বলতে রাজি নয়। এক আবগারি আধিকারিক শুধু বলেন, “একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। তার রিপোর্ট কিছু দিন আগে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। যেখানে ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সে সব জায়গায় মদের দোকানের জন্য কেউ আবেদন করলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার মানে এই নয় যে অন্য জায়গায় মদের দোকানের অনুমতি দেওয়া হবে না।”

একাধিক মহলের অনুমান, ভবিষ্যতে বর্ধমান শহরে মদ বিক্রির অনুমোদিত দোকান (ফ্র্যাঞ্চাইজি) দেওয়া হতে পারে। অনেকটা খুচরো দোকানের (রিটেল শপ) মতো। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চোলাই বিক্রি ঠেকাতে সরকার কড়াকড়ি করছে। আবগারি ও পুলিশ নিয়মিত বড় বড় ঠেকগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে। চোলাই পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ফলে, দেশি-বিদেশি বৈধ মদের বিক্রি বাড়ছে। পুজোর মাসেই ১৮০ কোটি টাকার মতো মদ বিক্রি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজস্বের পরিমাণও বেড়েছে। একাধিক মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, মদের উপরে আবগারি শুল্ক ছাড়াও বিক্রয়-কর থেকে রাজস্ব আদায় করত সরকার। জিএসটি পরবর্তী সময়ে বিক্রয়-কর উঠে গিয়েছে, তবে আবগারি শুল্ক বেড়েছে। গত কয়েক বছরে লাফিয়ে দোকানের সংখ্যার সঙ্গে মদ বিক্রিও বেড়েছে।

আবগারি দফতর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই কর্পোরেট কায়দায় বছরের শুরুতে কোন জেলায়, কত পরিমাণ মদ বিক্রি করা যাবে, কত আয় হবে, তার একটা পরিকল্পনা ছকে ফেলা হয়। জেলা ধরে আবগারি রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে, মদ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়। এর পরে জেলা আবগারি দফতর লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানদারদের মধ্যে সেই লক্ষ্যমাত্রা ভাগ করে দেয়। পূর্ব বর্ধমানে মদ বিক্রির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। জেলায় ৩২৫টি লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকান রয়েছে। চলতি বছরে (২০২৩-২৪) এই লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে প্রায় ১০৫০ কোটি টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত ৫৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। আবগারি দফতরের ধারণা, নভেম্বরের শেষে তা ৭০০ কোটিতে দাঁড়াবে।

জেলায় আবগারি দফতরের ৪টি রেঞ্জ রয়েছে— বর্ধমান (সদর), কাটোয়া, কালনা ও মেমারি। সার্কেল রয়েছে ১৪টি। মদের দোকান খোলা যেতে পারে, প্রাথমিক ভাবে এমন কয়েকটি জায়গা চিহ্ণিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন শর্তাবলীকে খেয়াল রেখে দু’তিন কিলোমিটারের মধ্যে মদের দোকান নেই, সেই সব জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্ধমান সদর রেঞ্জে সেই সংখ্যাটা কম হলেও, কাটোয়, কালনা ও মেমারিতে সে রকম এলাকা বেশি রয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy