Advertisement
E-Paper

students: পড়ুয়াদের খোঁজ নিতে গ্রামে শিশু সুরক্ষার দল

শিশু সুরক্ষা কমিটি ব্লকের দফতরে গিয়েও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে মেনাডাঙার জনজাতি পরিবারগুলি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৩৮
ভাতারের মেনাডাঙা গ্রামে প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার।

ভাতারের মেনাডাঙা গ্রামে প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।

প্রান্তিক এলাকার শিশুরা এবং তাদের পরিবার কেমন আছে, সে সমীক্ষা করতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের শিশু সুরক্ষা বিভাগের একটি দল মঙ্গলবার ভাতারের মেনাডাঙা ও লাগোয়া এলাকায় যায়। দু’জন সদস্য জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাটির বেশ কিছু পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কী-কী অসুবিধা রয়েছে, সরকারি সুবিধা পেতে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, সে সব জানতে চান। ফিরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে তাঁরা একটি রিপোর্ট দিয়েছেন বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন দেখে ভাতারের ওই এলাকা সম্পর্কে খোঁজ নিতে বিভাগের দু’জন গিয়েছিলেন। তাঁরা বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছেন।’’ ওই দলের সঙ্গে ছিলেন মেনাডাঙা গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মিসকিন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘শিশু ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতির কথা জানছিলেন ওই প্রতিনিধিরা। স্থানীয় আশাকর্মীদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন।’’ ভাতার ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শিশু সুরক্ষা কমিটি ব্লকের দফতরে গিয়েও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে মেনাডাঙার জনজাতি পরিবারগুলি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন।

ওই গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত সরেন বলেন, “জেলা থেকে দু’জন আধিকারিক এসেছিলেন। তাঁদের কাছে আমাদের অবস্থা জানিয়েছি। আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।’’ সুমিতা সরেন নামে এক মহিলার দাবি, “বাড়িতে দু’টো ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তাদের লালন-পালন করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সে কথা জানানো হয়েছে।’’ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘পিছিয়ে পড়া’ পরিবারগুলির কী রকম সাহায্য প্রয়োজন, সে সমীক্ষা করতেই জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগ ওই আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল। বিডিও (ভাতার) অরুণকুমার বিশ্বাস বলেন, “পরিবারগুলি কেমন আছে, তাঁদের কী সাহায্য প্রয়োজন, মূলত সে সবই জানতে এসেছিলেন ওঁরা।’’

এলাকার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মিসকিন মণ্ডল করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে স্থানীয় পড়ুয়া ও নানা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ছেলেমেয়েরা যাতে পড়া বন্ধ না করে, সে বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। ‘অনলাইনে’ পড়ানোর সঙ্গে বই, খাতা, কলম কিনে দেওয়া, খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন অনেকের জন্য। শিশু সুরক্ষা বিভাগের যে দুই সদস্য এ দিন গ্রামে যান, তাঁদের এক জন বলেন, “ওই শিক্ষক সাহায্য করেন। সরকারি ভাবে কী করা যায়, তা দেখে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।’’

জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই রিপোর্টে বেশ কয়েক জন পড়ুয়াকে সমাজকল্যাণ দফতরের হোম বা হস্টেলে রেখে পড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, সরকারি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা যাতে দ্রুত পাওয়া যায়, সে জন্য সমন্বয় করার কথাও উঠে এসেছে। জনজাতি শংসাপত্র দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

Education Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy