Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪
Teacher Arrested

প্রধানশিক্ষকের আঙুল ভেঙে দিয়ে গ্রেফতার হলেন রানিগঞ্জের স্কুলের সেই সহ-শিক্ষক, অভিযোগ আরও

শনিবার আসানসোলের রানিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া নিয়ে বচসা থেকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রধানশিক্ষকের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হন সহ-শিক্ষক বিজয় দাস। তাঁকে হাজির করানো হচ্ছে আদালতে।

arrest

প্রধানশিক্ষককে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার সহ-শিক্ষক। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ১১:৩৫
Share: Save:

ক্লাস নেওয়া নিয়ে তর্কাতর্কি থেকে স্কুলের প্রধানশিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আঙুলে চোট পেয়েছেন ওই প্রধানশিক্ষক। প্রতিম চট্টোপাধ্যায় নামে ওই প্রধানশিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক বিজয় দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মারধর ছাড়াও পুলিশের কাছে প্রধানশিক্ষক সেই সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

শনিবার সকালে আসানসোলের রানিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া নিয়ে প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে মারধরের ঘটনা ঘটে। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে যেমন মর্জিমাফিক কাজ করার অভিযোগ করেছেন সহ-শিক্ষক, তেমনই পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। বিজয় ছাড়াও আরও এক সহ-শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন প্রধানশিক্ষক। এফআইআরে তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজয় নামে ওই সহ-শিক্ষক বেশ কিছু আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত। তিনি পদক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ওই সহ-শিক্ষক ‘প্রভাবশালী’ বলে কিছু করে উঠতে পারেননি। বাকি দু’জনের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন প্রধানশিক্ষক।

তিনি জানান, শনিবার এক সহ-শিক্ষককে ক্লাস নিতে যেতে বলায় তিনি তর্ক শুরু করেন। সেই সময় বিজয় এসে তাঁকে মারধর শুরু করেন। তখন ওই শিক্ষক এবং এক শিক্ষাকর্মীও তাঁকে মারধর করেন। পরে স্কুলের অন্য সহকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বলে দাবি করেছেন।

রবিবার ধৃত সহ-শিক্ষককে আসানসোল আদালতে হাজির করাচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশ ভ্যানে বসে প্রধানশিক্ষকের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। আদালতে যাওয়ার পথে বিজয় বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হচ্ছে, তার সবই ভিত্তিহীন। কারণ, স্কুলের কোনও ‘অথরিটি’ আমার কাছে নেই। টাকা তছরুপের যে অভিযোগ প্রধানশিক্ষক করছেন, তা মিথ্যা। স্কুলে ১২ জনের কমিটি রয়েছে। যার সভাপতি স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আমি এক জন সহ-শিক্ষক মাত্র।’’ তাঁর অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন প্রধানশিক্ষক। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ তথা পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যেও।

অন্য বিষয়গুলি:

Head Master beaten Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE