Advertisement
E-Paper

ক্লাস নেওয়া নিয়ে অশান্তি, সহ-শিক্ষকের মারে আঙুল ভাঙল প্রধানশিক্ষকের! পুলিশে খবর দিল পড়ুয়ারা

আহত প্রধানশিক্ষকের নাম প্রতিম চট্টোপাধ্যায়। রানিগঞ্জের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। তিনি সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন। পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্তকে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ১১:৪৪
আহত প্রধানশিক্ষক

আহত প্রধানশিক্ষক —নিজস্ব চিত্র।

প্রধানশিক্ষককে মারধর করে তাঁর হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ হাই স্কুলের ঘটনা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

ক্লাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধানশিক্ষক এবং সহ-শিক্ষকের মধ্যে ঝগড়ার সূত্রপাত। সেই তর্কাতর্কি গড়ায় মারামারিতে। প্রধানশিক্ষক এবং সহ-শিক্ষকের মারামারি দেখে একদল পড়ুয়া খবর দেয় রানিগঞ্জ থানায়। পরে পুলিশ এসে সহ-শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়।

আহত প্রধানশিক্ষকের নাম প্রতিম চট্টোপাধ্যায়। রানিগঞ্জের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। তিনি সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন। যদিও যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই মারধরের অভিযোগ, সেই বিজয় দাস উল্টে প্রধানশিক্ষকের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘অন্যায়, অত্যাচার এবং নির্যাতন চালিয়েছেন উনি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’ পুলিশ অবশ্য মারধরে অভিযুক্ত ওই সহ-শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি রানিগঞ্জ থানা চত্বরে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রধানশিক্ষক হিসাবে ২০১৯ সালে রানিগঞ্জ হাই স্কুলের দায়িত্ব নেন প্রতিম। প্রথম থেকেই নাকি বেশ কয়েক জন সহ-শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। প্রধানশিক্ষক স্কুলের সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’। কয়েক জন শিক্ষকের অভিযোগ, কে কোন কোন ক্লাস নেবেন, তা নিয়ে প্রায় দিনই তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হত প্রধানশিক্ষকের। তবে শনিবারের এই ঘটনায় সবাই বিস্মিত। সহ-শিক্ষকের মারে প্রধানশিক্ষকের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘শিক্ষকেরাই যদি এমন ব্যবহার করেন, তা হলে বাচ্চারা কী শিখবে!’’

কিন্তু কী নিয়ে এই অশান্তি হল? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানিয়েছেন মারধরে ‘অভিযুক্ত’ শিক্ষক বিজয় দাসের স্ত্রী পাপিয়াও ওই স্কুলে পড়ান। তিনি ক্লাসে যাননি। তাই নিয়ে প্রধানশিক্ষক তাঁকে কড়া কথা বলেন। তখনই সেখানে উপস্থিত হন বিজয়। শুরু হয় বচসা, সেখান থেকে হাতাহাতি। পাপিয়া বলেন, ‘‘প্রধানশিক্ষক সব সময় সহ-শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। যেখানে-সেখানে অভিযোগ করেন। কখন কাকে কোন ক্লাস দেন, কাউকে কিছু জানান না। কারও সঙ্গে কোনও রকম বনিবনা হয় না। সেই জন্য স্কুলের পঠনপাঠন ঠিক ভাবে হচ্ছে না।’’

অন্য দিকে, প্রধানশিক্ষকের দাবি, ‘‘ক্লাসে যাননি এক শিক্ষক। প্রধানশিক্ষক হিসাবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। তাই নিয়ে আমাকে মারধর করা হল।’’

Raniganj Head Master beaten detain Teacher
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy