Advertisement
E-Paper

টাকা-গয়নার সঙ্গে খোওয়া গেল ওষুধও

পুলিশ কর্মীদের বাসভবন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে পাশাপাশি দুটি বাড়ির একাধিক তালা ভেঙে চুরি হয়ে গেল বর্ধমান শহরে। ওই বাড়ির মালিকদের দাবি, নগদ কয়েক হাজার টাকা-সহ বেশ কয়েক ভরি সোনা-রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০১:২৭
অবিন্যস্ত: লুঠপাটের পরে ইছলাবাদের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

অবিন্যস্ত: লুঠপাটের পরে ইছলাবাদের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

পুলিশ কর্মীদের বাসভবন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে পাশাপাশি দুটি বাড়ির একাধিক তালা ভেঙে চুরি হয়ে গেল বর্ধমান শহরে। ওই বাড়ির মালিকদের দাবি, নগদ কয়েক হাজার টাকা-সহ বেশ কয়েক ভরি সোনা-রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার আগে ঘরে থাকা রক্ত বন্ধ করার ওষুধও তারা খেয়েছে বলে এক বাড়ি মালিকের দাবি।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ৪ নম্বর ইছালাবাদের ঘোষপাড়া-শিবমন্দিরের কাছে ওই জোড়া চুরির খবর পেয়ে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। আইসি তুষারকান্তি কর তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালানোর পরে তালাগুলোও নিয়ে পালিয়েছে।

জেলা পুলিশ লাইনের কর্মীদের বাসভবনের পিছনেই ওই এলাকা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রথম তালা ভাঙা নজরে আসে আত্মীয় ওই দুই পরিবারের মামিমা সুলেখা চন্দ্রের। তাঁর কাছেই একটি বাড়ির চাবি ছিল। তিনি বলেন, “বুধবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টিভি দেখে বাড়িতে চলে যাই। সকালে এসে সদর দরজার তালা খোলার পরে বুঝি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পাঁচিল টপকে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে বুঝি সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাড়ির মালিক মহাদেব রায়। আরেকটি বাড়ির কর্তা হলেন মহাদেববাবুর ভগ্নিপতি সব্যসাচী চৌধুরি। দুই বাড়ির মধ্যে একটি দরজাও রয়েছে। সেই দরজাটিকেও ভাঙা অবস্থায় দেখা যায় এ দিন। ওই দুই পরিবার সূত্রে জানা যায়, মহাদেববাবুর গ্রামের বাড়ি মেমারির করন্দাতে সারের ব্যবসা রয়েছে। আর সব্যসাচীবাবুর গ্রামের বাড়ি বর্ধমানের ভন্ডুল-কামারকিতায় হার্ডওয়ারের ব্যবসা রয়েছে। দু’জনেই বর্ধমান থেকে যাতায়াত করেন। মহাদেববাবুর স্ত্রী সোমাদেবী বলেন, “ছেলের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় গত সোমবার বাপের বাড়ি গলসির খুরাজে গিয়েছিলাম। এই ক’দিন ওখানেই ছিলাম। আমার শাশুড়ি ও স্বামী গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। বর্ধমানের বাড়ি ফাঁকাই পড়েছিল।” তাঁর দাবি, “এ দিন খবর পেয়ে বর্ধমানে এসে ঘরে ঢুকে দেখি, আলমারি ভাঙা। আমার ছেলের রুপোর থালা-বাটি-গ্লাস-সহ বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না ও নগদ কুড়ি হাজার টাকাও হাওয়া।’’ তার সঙ্গেই রক্ত বন্ধ করার ওষুধও দুষ্কৃতীরা নিয়ে পালিয়েছে বলে তাঁর দাবি। পাশের বাড়ির কর্ত্রী শিবানী চৌধুরীর দাবি, “আমি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি, আলমারি ভেঙে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ ভরি গয়না নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’’ তাঁদের দাবি, জন্ম থেকে এই পাড়াতেই আছেন তাঁরা। এর আগেও একাধিকবার বাড়ি ফাঁকা রেখে অন্যত্র গিয়েছেন। কিন্তু এমনটা ঘটেনি। শহরের জমজমাট এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

Theft Two Houses
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy