চার বছরে তিনটি খুন একই এলাকায়! এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের নিয়ামতপুরের চিনাকুড়িতে। পাশাপাশি, এলাকাবাসী জানান, তাঁদের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে ইসিএলের পরিত্যক্ত ফাঁকা আবাসনগুলি। সেগুলিতে মদ, জুয়ার আসর বসানো-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম চলছে বলে অভিযোগ। দ্রুত ওই আবাসনগুলি ভেঙে ফেলার দাবি উঠেছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকায় গত চার বছরে এ নিয়ে পর-পর তিনটি খুন হয়েছে। ২০১৭-র ১৩ মে ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসনের সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান রাজকপূর পাসোয়ান ওরফে গোবরা নামে এক জন। নিহতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় নানা অভিযোগ ছিল বলে পুলিশের দাবি। তদন্তকারীরা দাবি করেন, ‘বিরোধী গোষ্ঠী’র হাতে খুন হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
২০১৮-র ১৫ ডিসেম্বর ওই এলাকারই অন্য একটি পরিত্যক্ত আবাসনের সামনে খুন হন সঞ্জিত পাসোয়ান নামে অন্য এক জন। এ ক্ষেত্রে, রাজকপূরের লোকেরাই খুন করেছে বলে পুলিশ দাবি করে। ২০১৯-এর ৩ অক্টোবর দু’নম্বর এলাকাতেই এক ইসিএল কর্মীর আবাসন তাক করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তবে কেউ হতাহত হননি। এর পরে, বুধবার সকালে ফের দেহ উদ্ধার হয়েছে পরিত্যক্ত বাংলো থেকে।