ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে তৃণমূলের মিছিল। শুক্রবার দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে। —নিজস্ব চিত্র।
জেলা আজ ব্রিগেডমুখী, জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার পথে বাস অত্যন্ত কম থাকবে বলেই আশঙ্কা যাত্রীদের। সেই সঙ্গে পরিবহণকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, একই বাস বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব ‘বুক’ করায় সমস্যা বেড়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন শুক্রবার বলেন, ‘‘শুধুমাত্র আসানসোল থেকেই মিনি ও বড়বাস মিলিয়ে ৩৫৩টি বাস নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর থেকেও প্রায় দুশো বাস নেওয়া হয়েছে। এর জন্য শনিবার জেলার রাস্তায় বাস কম চলবে।’’
ভোগান্তির আশঙ্কা ছাড়া দুর্গাপুরে অন্য অভিযোগও করেছেন পরিবহণকর্মীরা। দুর্গাপুর থেকে আসানসোল, বরাকর, চিত্তরঞ্জন, বর্ধমান, বোলপুর, বহরমপুর, বাঁকুড়া-পুরুলিয়া রুটে ২২০টি বড়বাস চলে। অধিকাংশ বাসই থাকছে না। আইএনটিইউসি-র বাসকর্মী সংগঠনের নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একই বাস বিভিন্ন এলাকায় শাসক দলের নেতাকর্মীরা ‘বুক’ করতে চেয়েছেন। বিষয়টির উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি দাবি করেন, ধরা যাক, একটি বাস বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর রুটে চলাচল করে। সেই বাসটি বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতৃত্ব ‘বুক’ করেছেন। আবার দুর্গাপুর বা সোনামুখীতেও তৃণমূল নেতৃত্ব সেই বাসই ‘বুক’ করতে চাইছেন। এর ফলে পরিবহণকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও তাঁর অভিযোগ। কেন্দ্রীয় ভাবে বাস নেওয়া হলে যাত্রী ও পরিবহণকর্মীদের সুবিধা হত, এমনটাই মনে করছেন পরিবহণকর্মীদের একাংশ। এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘সমাবেশের সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য বিভিন্ন জেলা নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কোথাও কেউ সমস্যায় পড়বেন না।’’
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর থেকে বহু বাস দলের কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে ব্রিগেডমুখী হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেল থেকেই অল্পবিস্তর ভোগান্তির ছবি দেখা গিয়েছে। এদিন সকালে আসানসোলের বিভিন্ন রুটে মিনিবাসের দেখা মিলেছে। কিন্তু ১২টার পরে সংখ্যাটা কমে গিয়েছে। অন্য দিকে বড়বাসের সংখ্যা সকাল থেকেই কম ছিল বলে জানান শহরবাসী। কলেজ শিক্ষক অভিজিৎ রায় জানান, বাস না পেয়ে অটোয় চড়ে বাড়ি ফিরেছেন। ভোগান্তির প্রসঙ্গে ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘একটা দিন মানুষকে একটু কষ্ট করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’’
আসানসোল মিনিবাস অ্যাশোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায়, বড়বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রকাশ মণ্ডলেরা জানান, তাঁরা সংগঠনের তরফে বাস দেননি। তবে বাস মালিকদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে বাস দিয়েছেন। তবে দুর্গাপুরের বেশির ভাগ রুটেই মিনিবাস থাকছে বলে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy