ব্লকের ন’টি পঞ্চায়েতের মধ্যে কৃষ্ণদেবপুর সিপিএমের হাতে ছিল। এ বার সেই বোর্ডের বিরুদ্ধেও অনাস্থা আনল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, ওই পঞ্চায়েতের তার সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের ফল বোরোনোর পর থেকেই কালনা মহকুমার চার ব্লকে বিভিন্ন বাম পরিচালিত পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনতে শুরু করে তৃণমূল। সম্প্রতি মন্তেশ্বরের জামনা পঞ্চায়েতে আস্থা ভোটে হেরে যান সিপিএম প্রধান। ওই ব্লকের দেনুর পঞ্চায়েতে অনাস্থা জমা পড়ে। কালনা ২ ব্লকেও সিপিএমের দখলে থাকা বড়ধামাস পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। তৃণমূলের সূত্রের খবর, মাস দুয়েকের মধ্যে কালনা১, ২ মন্তেশ্বর এবং পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সব ক’টি পঞ্চায়েতেই তাঁদের দখলে চলে আসবে। সিপিএম সদস্যেরা নিজে থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন বলেও তাঁদের দাবি। যদিও সিপিএম নেতাদের দাবি, অনেকক্ষেত্রেই ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে দলে টানা হচ্ছে সদস্যদের।
কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতে ১৪টি আসনের মধ্যে ন’টি সিপিএমের দখলে ছিল। বাকি পাঁচটি ছিল তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এই পঞ্চায়েত দখলে আনার চেষ্টা চলছিল। বিধানসভা ভোটে ভাল ভোটও পায় তৃণমূল। ভাঙন শুরু হয় সিপিএম সদস্যদের মধ্যে। তৃণমূল সূত্রের খবর, সিপিএম থেকে নির্বাচিত চার পঞ্চায়েত সদস্য সম্প্রতি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। সপ্তাহ খানেক আগে আট জনের স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ে। সেখানে পাঁচ তৃণমূল সদস্যের সঙ্গে স্বাক্ষর করেন তিন সিপিএম সদস্য আনন্দ সাধু, হাসনা বিবি এবং নাড়ুগোপাল ঘোষ। কৃষ্ণদেবপুর এলাকা থেকে নির্বাচিত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তপন মণ্ডলের দাবি, ‘‘তিন জন সই করলেও মোট চার জন দল ছেড়ে আমাদের দলে আসতে চান বলে জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত দখলে আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনিমেষ দেবনাথও জানান, কোনও দুর্নীতি নয়, ক্ষমতায় এলে এই পঞ্চায়েত মানুষের চাহিদাকেই অগ্রাধিকার দেবে। সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সম্পাদক সুকুল শিকদার যদিও বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হবে থেমে গিয়েছেন। কালনা ১-এর বিডিও অসীমকুমার নিয়োগী জানান, বুধবার একটি তলবি সভা ডাকা হয়েছে ওই পঞ্চায়েতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy