চুরুলিয়ায় তৃণমূলে দ্বন্দ্ব, ফাঁড়ি ঘেরাও

তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালে অশান্ত হল চুরুলিয়া। মারধরের অভিযোগে ফাঁড়ি ঘেরাও, পরে পাল্টা মারধরের অভিযোগ উঠল। সিপিএম ছেড়ে দলে যোগ দেওয়া লোকজনের সঙ্গে পুরনো নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্বেই এই গোলমাল বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

বুধবার রাতে চুরুলিয়া ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন শেখ আফরোজ নামে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর দলবল। আফরোজের অভিযোগ, তিনি মোটরবাইকে চড়ে সন্ধেবেলা দলের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে তাঁকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়। তবে তা তাঁর গায়ে লাগেনি। তিনি সেখান থেকে পালিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে যান। অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পঞ্চায়েত প্রধান পিন্টু মিশ্রের মদতেই তাঁর উপরে হামলা হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি।

প্রধান পিন্টু মিশ্র যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা দাবি, রাতে তিনি দলের ব্লক সভাপতি সাধন রায়ের কাছ থেকে জানতে পারেন, দলের এক জনকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগে ফাঁড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। তা শুনে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। তাঁর অভিযোগ, সেখানে আফরোজ ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তিনি বলেন, ‘‘জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ করেছি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছি।’’

তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, আফরোজ সদ্য সিপিএম ছেড়ে দলে যোগ দিয়েছেন। তার পর থেকেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধছে। পিন্টুবাবুরও অভিযোগ, ‘‘সদ্য দলে যোগ দিয়ে পুরনো কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে আফরোজ।’’ আফরোজ অবশ্য পিন্টুবাবুকে মারধর বা মিথ্যে মামলার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।

তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘দলের কর্মীদের মধ্যে কোনও রকম গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না। ঘটনা তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, দু’টি অভিযোগেরই তদন্ত হচ্ছে।