Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Ration Shop

গরমিলের অভিযোগ, আসানসোলের সিল করে দেওয়া হল তৃণমূল কাউন্সিলরের রেশন দোকান

আসানসোল পুরসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম আখতারের রেশন দোকানে ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার অভিযান চালায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের খাদ্য বণ্টন দফতর।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১০:২০
Share: Save:

ফের গরমিলের অভিযোগ। এ বার কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন। সিল করে দেওয়া হল তৃণমূল কাউন্সিলরের রেশন দোকান। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।

আসানসোল পুরসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম আখতারের রেশন দোকানে ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার অভিযান চালায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের খাদ্য বণ্টন দফতর। আচমকা অভিযানে বেশ কিছু গরমিলের সন্ধানও পায় তারা। এর পরেই রেশন দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এর আগেও সেলিমের রেশন দোকানের বিরুদ্ধে গরমিলের অভিযোগ পেয়ে জরিমানা করা হয়। অভিযোগ, এর পরেও ওই রেশন দোকানের মালিক নিজেকে সংশোধন করেননি। যার ফলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হল প্রশাসনকে। এ ছাড়া সেলিমকে শো-কজও করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রায় ৪০০ কুইন্টাল চাল ও গমের যে হিসাব পাওয়া যায়নি, তার উত্তর সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে। জেলা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক দীপক মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা ইন্সপেকশনে গিয়েছিলাম। কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।’’

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের সবাই চোর। কেন্দ্রের পাঠানো চাল, গম লোপাট করে দিচ্ছেন খোদ তৃণমূলের কাউন্সিলর।’’ যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক বলেন, ‘‘বিরোধীদের কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। তৃণমূলে থাকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলা হচ্ছে। আর যখনই তারা বিজেপিতে যাচ্ছেন, তখনই তারা ওয়াশিং মেশিনে সব ধুয়ে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ration Asansol TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE