মনোনয়ন জমা দিলেন দেবু টুডু। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দু’দিন পার। কিন্তু এখনও বহু আসনে প্রার্থী নির্দিষ্ট করে ওঠা যায়নি বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। বহু জায়গায় এক আসনের জন্য একাধিক প্রার্থীর প্রস্তাব আসায় চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে নেতৃত্ব হিমশিম হচ্ছেন বলে শাসকদল সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের কালনা ২ ব্লকের ১৯ নম্বর আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন বিদায়ী জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, সব ব্লকে প্রার্থীর তালিকা এখনও তৈরি হয়নি। দ্রুত যাতে তা করা যায়, জেলা নেতারা সেই চেষ্টা করছেন। পঞ্চায়েত স্তরে বহু জায়গায় এক আসনের জন্য একাধিক নামের প্রস্তাব এসেছে। যেমন, খণ্ডঘোষের কয়েকটি আসনে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কালনা ১ ব্লকের হাটকালনা পঞ্চায়েতে প্রার্থীর তালিকা বারবার বদল করা হয়েছে। বেশ কিছু আসনে প্রার্থী নিয়ে শাসক দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে পূর্বস্থলী ২ ব্লকেও। যদিও নেতাদের দাবি, আলোচনায় সমস্যা অনেকটা মিটে গিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, সব এলাকাতেই গত বার জয়ী প্রার্থীদের রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু আসনে সংরক্ষণের কারণে কাউকে টিকিট দেওয়া না গেলে অন্য এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে দলবিরোধী কাজ বা দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বাদ দেওয়া হচ্ছে তালিকা থেকে। সে কারণে জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষও এ বার টিকিট পাচ্ছেন না বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এ দিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সকালে দেবুবাবু বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। সেখান থেকে যান খক্কর সাহেবের দরগায়। সেখানেও চাদর চাপিয়ে প্রার্থনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সহ-সভাধিপতি শম্পা ধারা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে দলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে দেবুবাবু বলেন, ‘‘পুরনোদের প্রাধান্য দিতে হবে, এমনটা দলের নির্দেশ রয়েছে। আসন সংরক্ষণের জেরে পুরনোদের অনেককে অন্য আসনে টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করছে দল। তবে আসন সংরক্ষণ-সহ নানা কারণে এ বার প্রতি ব্লকে নতুনদেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, মঙ্গলবার রাতের মধ্যে জেলার সব এলাকায় প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করে ফেলার চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দু’দিনে জেলা পরিষদে দু’টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৩টি ও পঞ্চায়েতের ২৪৮টি আসনে মনোনয়ন জমা পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy