সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে তৃণমূল।
ভোটের ফল যেমনই হোক না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে সিপিএম। পিছিয়ে নেই বিজেপি-ও। এ বার লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের টক্কর দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হচ্ছে তারাও, খবর তৃণমূলের সূত্রে। সে জন্য কর্মশালাও আয়োজিত হতে চলেছে বলে শাসক দল সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও বিরোধীদের নানা অভিযোগের জবাব দিতে ‘তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে। এই কমিউনিটিতে মূলত থাকছেন ছাত্র-যুব কর্মীরাই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের তৃণমূলের রাজনৈতিক নানা কর্মকাণ্ড, দলের বিভিন্ন আন্দোলনের বিষয়ে সচেতন করার জন্য তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সভা, কর্মসূচির ছবি দেওয়া হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি বা ভিডিও ‘আপলোড’ করা হলে দলের নানা কর্মকাণ্ডের প্রচার যেমন সহজে হয়, তেমনই সভা বা কর্মসূচি সফল কি না, সে সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে পারেন শীর্ষ নেতৃত্ব।’’ সরকারি নানা প্রকল্পে এলাকার কত জন উপকৃত হয়েছেন, তা-ও সোশ্যাল মিডিয়া মারফত অনেককে জানানো সহজ হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কত জন সেই ‘পোস্ট’ দেখলেন বা কী ধরনের মন্তব্য করলেন, সে দিকেও নজর রাখা হবে।
জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কর্মীদের সড়গড় করে তুলতে কর্মশালা আয়োজনের চিন্তাভাবনা চলছে। সেখানে তথ্যচিত্র দেখানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের কোন-কোন ‘পেজ’ রয়েছে তা জানানো হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, এই দুই জেলার কর্মীদের নিয়ে আজ, ৩ জুন সোশ্যাল মিডিয়া সম্মেলন হওয়ার কথা বর্ধমানের টাউন স্কুলে।
হঠাৎ এই ‘সক্রিয়তা’র কারণ কী? দলের নেতাদের একাংশের দাবি, প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে দেখা যায় বিরোধীদের। সে সবের জবাব দেওয়া জরুরি, না হলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তাই এ দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
এত দিন জেলায় শাসক দলের নেতারা দাবি করতেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিরোধীরা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঁচে রয়েছে। এখনও সেই দাবি থেকে সরছেন না পশ্চিম বর্ধমানের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিরোধীদের অস্তিত্ব শুধুই সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাঠে দেখা মেলে না। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মানুষের সুবিধা-অসুবিধা জেনে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy