পাহাড়ি রাস্তার এক বাঁকে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নেমে পড়েছেন পর্যটকেরা। তবে, পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন না কেউ। মাঝরাস্তায় গা়ড়ি দাঁড় করিয়ে মদ্যপান করতে ব্যস্ত তাঁরা। সঙ্গে চলছে দেদার খাওয়াদাওয়া। এক স্থানীয়ের নজরে পড়তেই পর্যটকদের উদ্দেশে চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। রাস্তায় ফেলে দেওয়া আবর্জনা কুড়িয়ে পরিষ্কার করতে বলেন তাঁদের। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘সিদ্ধার্থ শুক্ল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন পাঁচ জন। একটি বাঁক আসতেই সেখানে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লেন সকলে। গাড়ি থেকে নেমে ডিকি খুলে শুরু হল তাঁদের ‘পার্টি’। গাড়ির পিছনে রাখা ছিল মদের বোতল, মুখরোচক খাবার, প্লাস্টিকের গ্লাস থেকে শুরু করে কাগজের প্লেট। সব বার করে মাঝরাস্তায় মদের আসর বসান পর্যটকেরা।
সেই সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক স্থানীয়। পর্যটকদের এমন আচরণ দেখে রেগে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ক্যামেরা চালু করে পুরো ঘটনা ভিডিয়ো করতে শুরু করেন। পর্যটকেরা যে মাঝরাস্তায় মদ্যপান করছেন এবং রাস্তায় আবর্জনা ছুড়ে ফেলছেন তা দেখে আপত্তি জানান তিনি। পর্যটকদের গাড়িতে কোনও নম্বর প্লেট ছিল না বলেও দাবি করেন সেই স্থানীয়। প্রত্যক্ষদর্শীর রুদ্রমূর্তি দেখে তাঁদেরই ফেলে দেওয়া আবর্জনা রাস্তা থেকে তুলে এক পাশে সরিয়ে রাখেন তাঁরা।
ভিডিয়ো থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডে ঘটেছে। স্থানীয়ের এই পদক্ষেপ দেখে নেটাগরিকদের একাংশ প্রশংসা করলেও পর্যটকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এক জন নেটাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘চার দেওয়ালের মধ্যে নিজেরা যা খুশি করুক। বাইরে বেরিয়ে এই ধরনের অসভ্যতা করার তো কোনও অর্থ নেই। স্থানীয় বাসিন্দা একদম ঠিক কাজ করেছেন।’’