Advertisement
০৫ মে ২০২৪

পাঁচিল ভাঙায় নাম জড়াল সভাপতির

এক ব্যক্তির নির্মীয়মাণ পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালোবরণ মণ্ডল-সহ জনা কয়েক তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, যেখানে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল সেই জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
অন্ডাল শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৬ ০০:১৯
Share: Save:

এক ব্যক্তির নির্মীয়মাণ পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালোবরণ মণ্ডল-সহ জনা কয়েক তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, যেখানে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল সেই জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই পাঁচিল তৈরিতে আপত্তি করা হয়েছে।

অন্ডালের দীর্ঘনালা গ্রামের বাসিন্দা পরেশনাথ কুণ্ডু পুলিশে অভিযোগ করেন, তাঁর পারিবারিক ৫৬ শতক জমি রয়েছে। যার একাংশে তিনি বাড়ি করেছেন। বাকি অংশে তাঁর ভাই বংশীবদনবাবু বাড়ি তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু ৩০ জুলাই অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালোবরণবাবু, তৃণমূল নেতা অলোক মণ্ডল-সহ জনা সাত নেতা এসে জমি ঘিরে তৈরি পাঁচিল ভেঙে দেন। বংশীবদনবাবু দাবি করেন, ‘‘কালোবরণবাবু পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আমাদের কাছে জমির যে কাগজ আছে তা তিনি মানেন না। আমাকে কোনও ভাবেই জায়গার দখল নিতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন।’’ তাঁরা অন্ডাল থানায় অভিযোগ করেছেন। সোমবার মহকুমা প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ করেন।

কালোবরণবাবু অবশ্য দাবি করেন, “খনি রাষ্ট্রায়ত্তকরণের পরে ওই জমিটি খাস হয়ে যায়। খাস জমির মালিকানা কী করে এক পরিবারের হাতে গেল, আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে জানতে চাইব।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওঁরা আদতে একটি পুকুর ভরাটের চেষ্টায় সেটির এক দিকে পাঁচিল দিচ্ছিলেন। পুকুরটি গ্রামের অনেকে ব্যবহার করেন। তাঁরা পুকুরটি রক্ষার জন্য গণস্বাক্ষর করা আবেদনপত্র আমাদের কাছে জমা দেওয়ায় আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু পাঁচিল আমরা ভাঙিনি।’’ অলোক মণ্ডল জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও বিএলএলআর দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্ডাল বিএলএলআর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Wall
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE