মিছিল তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
উত্তরপ্রেদেশের হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চল জুড়ে পথে নামল তৃণমূল। সেখান থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। পাল্টা সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বও।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে হাথরসের ঘটনা এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের ‘প্রহৃত’ হওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘‘কোনও সভ্য সমাজে এমন ঘটনা, ভাবা যায় না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এ ধরনের নানা অন্যায়-অবিচার হচ্ছে।’’ সম্মেলনে পাশে থাকা, তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, ‘‘হাথরসের ঘটনা প্রমাণ করে, বিজেপি দেশ জুড়ে কী চাইছে। এই রাজ্যে বিজেপি-কে তাই দূরে রাখতে হবে।’’ হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল আসানসোলে মলয়বাবুর নেতৃত্বে মিছিলও করে। মিছিলটি আসানসোল ইসমাইল মোড় থেকে শুরু করে হাটন রোড পরিক্রমা করে আসানসোল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। বারাবনিতেও ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করে তৃণমূল। ছিলেন অসিত সিংহ-সহ তৃণমূলের অন্য নেতৃত্ব।
পাশাপাশি, শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরেও মৌনী মিছিল করে যুব তৃণমূল। এ দিন পলাশডিহায় সংগঠনের আয়োজিত মিছিলটি শুরু হয়। সিটি সেন্টারের এডিডিএ কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল হয়। নেতৃত্বে ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা রাজু সিংহ। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ মানি সরেন, ধর্মেন্দ্র যাদব, বরো চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার-সহ কয়েকজন কাউন্সিলর।
এ দিকে, কাঁকসায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে যে অপরাধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি সরকারের কেউ না হয়েও বলছি, তাদের এনকাউন্টার হবে। এই গ্যারান্টি দিলাম। ওখানে এসপি-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অথচ, পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ায় এসপি, কামদুনিতে ওসি-রা সাসপেন্ড হননি। বারাসতের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বিবৃতি দেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy