ভাঙা পড়ল তৃণমূল কার্যালয়ের একাংশ। মন্তেশ্বরের সোনাডাঙা হাসনাবাজার এলাকায় ওই কার্যালয় ভাঙার বিষয়ে পূর্ত দফতর নোটিস দিয়েছিল। শনিবার বিকেলে সেটির একাংশ ভাঙা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘনগর-পুটশুড়ি রাস্তার পাশে বছর আটেক আগে পাকা ছাদ ও সামনে করগেটের ছাউনি দেওয়া ওই কার্যালয় তৈরি করা হয়। কার্যালয়টি নির্মাণের পর থেকেই বিবাদ তৈরি হয় পিছনে অংশের জায়গার মালিক আনসার শেখের সঙ্গে। তাঁর দাবি, রাস্তার পাশেই তিনি জায়গা কিনেছিলেন। কিন্তু কার্যালয়টি পূর্ত দফতরের জায়গায় এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে তাঁর জায়গাটি আড়ালে চলে গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় সমস্যা না মেটায় তিনি প্রথমে পূর্ত দফতরের কাছে অভিযোগ জানান। কোনও সুরাহা না হওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
আনসার জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এক বার কালনার মহকুমা প্রশাসন এবং পরে জেলা প্রশাসনের কাছেও দু’পক্ষ হাজির হন। ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর হাই কোর্ট তৃণমূল কার্যালয়টি ভাঙার নির্দেশ দেয়। আনসারের দাবি, মহাকুমা পূর্ত দফতরের তরফে তাঁকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় ২৪ জানুয়ারি তাঁর জায়গার সামনের অংশে যে ভবন নির্মাণ হয়েছে, তা ভেঙে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পরে সেই তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। এ দিন বিকেলে ওই কার্যালয়ের একাংশ ভাঙা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
সিপিএমের মন্তেশ্বর অঞ্চল কমিটির সম্পাদক ওসমান গনি সরকারের মন্তব্য, ‘‘পূর্ত দফতরের জায়গার উপরে জোর করে কার্যালয় গড়েছিল তৃণমূল। তা ভাঙার জন্য আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানাই।’’ মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি কুমারজিৎ পানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)