আসানসোলে তৃণমূলের মিছিল ও সভা। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের মহামিছিল ও সভা শহরে। রবিবার আসানসোলের ওই মিছিল বা সভায় দেখা গেল না শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। তবে দেখা গিয়েছে এ পর্যন্ত ‘কংগ্রেস’ বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে। তবে মেয়র দলকে জানিয়েই ব্যক্তিগত কাজের কারণে সভায় যোগ দেননি বলে জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ দিন বিকেলে জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড় থেকে কয়েক হাজার সদস্য, সমর্থক মিছিল শুরু করেন। সিটি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় মিছিল শেষ হয় এবং সেখানে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভা মঞ্চে মন্ত্রী মলয় ঘটক, দলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন প্রমুখকে।
সম্প্রতি কলকাতায় নেতা, কর্মী, সদস্যদের সভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই মন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন জিতেন্দ্রবাবুকে। ওই পরামর্শের পরে এ দিনই আসানসোলে প্রথম তৃণমূল বড় কর্মসূচি নেয়। সেখানেই মেয়রের দেখা না মেলায় জল্পনা তৈরি হয়নি। তবে ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘মেয়র ব্যক্তিগত কাজে শহরের বাইরে রয়েছেন। তিনি আগাম দলের কাছে না থাকার বিষয়ে অনুমতিও নিয়েছেন। অবস্থার গুরুত্ব বুঝে দল তাঁকে অনুমতিও দিয়েছে।’’ মেয়রও বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে বাইরে রয়েছি।’’
এ ছাড়া বিশ্বনাথবাবুকে সভায় দেখা যায়। কিছু দিন আগেই আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি হিসেবে বিশ্বনাথ (বিশু) পাড়িয়ালের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি খাতায় কলমে কংগ্রেসেরই বিধায়ক। তবে তাঁর তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘ দিনের বলেই রাজনৈতিক কর্মীরা জানান। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, দল না পাল্টালেও বিশ্বনাথকে তৃণমূল ভবনে যাতায়াত, তাঁর স্ত্রী ও কিছু অনুগামীকে দুর্গাপুর পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট দেওয়া, তৃণমূলের কর্মী বৈঠকে বিশ্বনাথের বক্তৃতা দেওয়ার মতো ঘটনা অতীতেও ঘটেছে।
সভা থেকে মন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার।’’ তবে তৃণমূলের এ দিনের কর্মসূচির জেরে শহরে বেশ কিছুক্ষণ যানজট তৈরি হয়। এক সময় দমকলের ইঞ্জিনও যানজটে আটকে পড়ে। পরে পুলিশ এসে যানজট মুক্ত করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy